মহালয়া, দেবীপক্ষের আগমন ঘটে এই দিন। এই বিশেষ দিনে কেউ কেউ পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন কেউ আবার ভোরবেলায় রেডিওকে হাতে নিয়ে শোনেন মহালয়া। কারও কাছে এই দিনটি ভীষণ প্রিয় কারও আবার এই দিনে মনে পড়ে যায় অনেক পুরনো ব্যথা। মহালয়ার এই পুণ্যলগ্নে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় শেয়ার করলেন নিজের জীবনের কিছু অজানা কথা।
একটি অপূর্ণ দেবী মূর্তির সামনে লাল শাড়িতে বসে ছবি পোস্ট করে স্বস্তিকা লেখেন, রাজ্যের কাজ সেরে গতকাল বাড়ি ফিরে মাসিকে বললাম, রেডিওটা কোথায় গো মাসি? ভোর হলেই তো লাগবে। বছরের বাকি দিনগুলো মনেই থাকে না সে আছে কোথায়। এরপরেই শুরু হয়ে যায় রেডিওর খোঁজ।
আরও পড়ুন: বিতাড়িত নন, নিজেই ‘কল্কি’ ছেড়েছেন দীপিকা, নেপথ্যে রয়েছে কোন কারণ?
আরও পড়ুন: রামকমলের ‘বিনোদিনী’ এবার বোস্টনে, উচ্ছ্বসিত পরিচালক দিলেন বড় খবর
এই রেডিও শুধু মহালয়ার জন্য স্পেশাল নয়, অভিনেত্রীর দাদা শারীরিক অসুস্থতার সময় জোরে রেডিও চালিয়ে গান শুনতেন। তিনি মনে করতেন, গান শুনলে নাকি শরীরের সমস্ত ব্যথা কমে যায়। যদিও এখন তিনি নেই, তাই রেডিওর সেই ব্যবহারও কিছুটা কমে গিয়েছে।
এই রেডিও খুঁজতে খুঁজতে স্বস্তিকার মনে পড়ে যায় বাবা মায়ের কথা। সাড়ে পাঁচ বছর আগেও প্রতিবছর ভোরবেলা অভিনেত্রীর বাবা অর্থাৎ অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায় নিয়ম করে মহালয়া শুনতেন। তাই হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা হতোই না তখন।
আরও একটা কারণে রেডিও কখনও হারিয়ে যেত না, সেই কারণ হলেন অভিনেত্রীর মা। যদিও শুধু স্বস্তিকার মা নন, বাড়িতে মায়েরা সবসময় সবকিছু ভীষণভাবে আগলে রাখেন তাই কোনও কিছুই হারায় না। কিন্তু আজ মাও নেই, তাই বাড়ির দলিল থেকে ক্রেডিট কার্ড সবকিছুই খুঁজে নিতে হয় নিজে থেকে।
আরও পড়ুন: বেড়াজাল টপকে বাংলাদেশে সম্মানিত হল ‘পদাতিক’, ছবি ভাগ করে নিলেন সৃজিত
আরও পড়ুন: প্রয়াত গায়ক জুবিন গর্গ, স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে ঘটে দুর্ঘটনা
অবশেষে রেডিও খুঁজে মহালয়ার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়। মহালয়া শুনতে শুনতে স্বস্তিকার মা, কেন আকাশের দিকে তাকিয়ে হাপুস নয়নে কাঁদবেন তা হয়তো এখন বুঝতে পারেন তিনি। কেন কাঁদতেন তা তখন না বুঝতে পারলেও এখন খুব ভালো করেই বুঝতে পারেন তিনি। তাই মহালয়ার ভোরে মায়ের মতোই তিনিও মায়ের থেকে প্রার্থনা করেন, সন্তানরা যেন থাকে দুধে ভাতে।