সীমা খান বা 'সচদেব 'খান' এই পদবীতেই তাঁকে আগে লোকজন চিনতেন। সলমন খানের পরিবারের বউ ছিলেন তিনি। ২০২২ সালে সোহেল-সীমার ২০ বছরের দাম্পত্য যখন ভেঙে গেল, তখন তাঁদের ডিভোর্সের খবরে অনেকেই চমকে গিয়েছিলেন। ডিভোর্সের পরে ফের সীমা বিয়ের পূর্বের সচদেব পদবীই ব্যবহার করছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুলেছেন সীমা সচদেব।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সীমা সচদেব ইঙ্গিত দিয়েছেন, দাম্পত্য জীবন সোহেল তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন। ঠিক কী বলেছেন তিনি?
জ্যানিস সিকুইরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সীমা বলেন, ‘আমি সততা বজায় রেখেই বলছি, একটা প্রেমেই সব চুক্তি ভেঙে যায় না। তবে আমরা তো মানুষ। আমরা এগুলো কাটিয়ে উঠি। তবে এটা নির্ভর করে সেটা কী ধরণের প্রেম ছিল তার উপর? এমনকি যদি আপনি কারও সম্পর্কে ভাবেন, তাহলেও কিন্তু প্রতারণা করা হয়। দুটো মানুষ জীবনে কীভাবে কাটাচ্ছে, তার উপর নির্ভর করেই আসলে চুক্তি ভাঙে। জীবন ছোট, আসল বিষয় হল বেঁচে থাকো এবং সুখী হওয়া। হাসিই হল সর্বোত্তম ওষুধ এবং যেদিন দুজন একসঙ্গে হাসতে ভুলে যাবে, সেদিনই সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন-সোহেলের সঙ্গে ডিভোর্স, সলমন খানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে কতটা বদলেছে জীবন, কী বললেন সীমা সচদেব?
ডিভোর্স নিয়ে সীমা আরও বলেন, ‘যখন আপনি কোনও বিবাহিত সম্পর্কে থাকেন যেখানে আপনাদের ক্রমাগত ঝগড়া হয়। একে অপরের সঙ্গে কথা বললেই ঝগড়া হয়, তখন বুঝতে হবে আপনি আপনার সন্তানদেরও ১০০% দিচ্ছেন না। ঘরে বাবা-মাকে এই বিরক্তিকরভাবে দেখে, উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ দেখে তারাও আসলে হেরে যাচ্ছে। আর তখনই আপনি আক্ষরিক অর্থে সেই সম্পর্কটা ছুরি দিয়ে কেটে ফেলতে পারেন কারণ সমস্যাটা তখন বেশ ঘন।’
তবে আবার সাক্ষাৎকারে সীমা এটাও বলেছেন, যখন সোহেলের সঙ্গে কোনওভাবেই আর শান্তিপূর্ণ অবস্থায় সম্ভব হচ্ছিল না, তখনই তাঁদের সম্পর্ক ভেঙেছিল। তাঁর কথায়, একটা এমন সময়ও গেছে, যখন তিনি সবেতেই সোহেলের উপরই দোষ চাপাতেন। তবে তিনি এও জানিয়েছেন বিবাহ-বিচ্ছেদের মোকাবিলা করা পুরুষদের ক্ষেত্রেই বেশি কঠিন হয়, কারণ মহিলারা অনেককিছু সামলে নিতে পারেন।