Sara Tendulkar: 'মাই প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া' বইয়ে ঠাকুমা অ্যানাবেল মেহতাকে ইনস্টাগ্রামে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সারা টেন্ডুলকার।
দিদার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম সারার, প্রচার করলেন তাঁর লেখা বইয়েরও
NEW DELHI :
ক্রিকেট কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকরের কন্যা সারা তেন্ডুলকর সর্বদা জানেন যে কীভাবে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়, তা তাঁর ডেটিংয়ের গুজব, স্টাইলিশ চেহারা বা সোশ্যাল মিডিয়া আপডেট হোক না কেন। তিনি ইনস্টাগ্রামেও সুপার অ্যাক্টিভ, ক্রমাগত তাঁর দৈনন্দিন জীবনের টুকরো টুকরো মুহূর্ত শেয়ার করেন। সম্প্রতি তিনি তাঁর ইনস্টা ফিডে তাঁর দিদার সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূতের ছবি তুলে ধরেছেন। ভক্তদের কাছে যা মধুরতম (সুইটেস্ট) বলে মনে হয়েছে।
দিদার সঙ্গে ছবি শেয়ার করলেন সারা
দিদা অ্যানাবেল মেহতার সঙ্গে 'মাই প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া' বইটি হাতে নিয়ে একটি সুন্দর ছবি পোস্ট করলেন সারা।
অ্যানাবেলের একটি অবিশ্বাস্য গল্প রয়েছে - তিনি ১৯৫০ এর দশকে ইংল্যান্ড থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন নিজের ভালোবাসার জন্য। এটা কতটা রোমান্টিক? পোস্টে সারা লেখেন, 'আমার ঠাকুমা সবচেয়ে অবিশ্বাস্য জীবন কাটিয়েছেন। তিনি ১৯৫০-এর দশকে আমার দাদুর জন্য ইংল্যান্ড থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন। তার প্রেম, বিয়ে, মাতৃত্বের পাশাপাশি দুঃখ ও শোকের যাত্রা তাঁর নিজের বই 'মাই প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া'তে নথিভুক্ত করা হয়েছে, যা এখন অ্যামাজনে পাওয়া যায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক তাঁর পোস্ট
পোস্টে সারা তাঁর দাদির বইয়ের ভিতর থেকে কিছু অপূর্ব ঝলকও ভাগ করেছেন, যেখানে না দেখা বহু পারিবারিক ছবি রয়েছে। বইটি অ্যানাবেলের অবিশ্বাস্য যাত্রা সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়। ইংল্যান্ডে তাঁর প্রথম জীবন থেকে শুরু করে শচীন তেন্ডুলকরের শাশুড়ি এবং শেষ পর্যন্ত সারা এবং অর্জুন তেন্ডুলকরের স্নেহময়ী ঠাকুমা হয়ে ওঠা। এটি তাঁর জীবন এবং ৬০ এর দশকে প্রেমের জন্য ভারতে বড় পদক্ষেপকে সুন্দরভাবে বর্ণনা করে।
সারার ঠাকুমা সম্পর্কে
অ্যানাবেল মেহতা মুম্বইয়ের সুবিধা থেকে বঞ্চিত শিশুদের জীবন উন্নয়নে নিবেদিত একটি আয়হীন সংস্থা ‘আপনালয়ের’ প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। তিনি ভারতের প্রিয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের স্ত্রী অঞ্জলি টেন্ডুলকারের মা। 'মাই প্যাসেজ টু ইন্ডিয়া' বইয়ে অ্যানাবেল প্রথমবারের মতো মুম্বইয়ে তাঁর জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে মুখ খুলেছেন।
বইটি শুরু হয় ১৯৫০-এর দশকে তার প্রেমিক আনন্দ মেহতা এবং তাঁর পরিবারের সাথে থাকার জন্য শহরে আসার মধ্য দিয়ে । এটি তাঁর জীবনের এমন একটি পদক্ষেপ যা ইংল্যান্ডে তাঁর নিজের পরিবার এবং বন্ধুদের কাছ থেকে তাঁকে আলাদা করে দেয়। প্রেম, বিয়ে, মাতৃত্ব এবং দুঃখ ও শোকের অনিবার্য অভিজ্ঞতা নিয়ে অ্যানাবেল অকপটে লিখেছেন রোলার-কোস্টার রাইড সম্পর্কে। তিনি ‘আপনালয়’ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার চ্যালেঞ্জগুলিও তুলে ধরেন। এটি এমন একটি সংস্থা যার প্রচণ্ড প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে টিকে থাকার জন্য নিরলস কঠোর পরিশ্রম এবং অবিচল বিশ্বাসের প্রয়োজন ছিল।