এখনও এক সপ্তাহ কাটেনি, সোহিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘটেছে একটি দুর্ঘটনা। জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার তথা মেকআপ আর্টিস্ট সোহিনীর জীবনের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা শুনে সকলেই শোকাহত। যদিও অনেকেই ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন রকম মন্তব্য করেছেন, যার বিরোধিতা করতে দেখা গেল রূপসা চট্টোপাধ্যায়কে।
রূপসা নিজেও একজন পুত্র সন্তানের মা, খুব স্বাভাবিকভাবেই সোহিনীর দুঃখ ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে তাঁকে। তবে সব থেকে বেশি কষ্ট তিনি পেয়েছেন সমাজ মাধ্যমে কিছু মানুষের লেখা কমেন্ট দেখে। তাই এবার নিজেই একটি ভিডিয়ো করে গোটা ব্যাপারটির প্রতিবাদ জানালেন তিনি।
আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় ফিরতে চলেছেন সৈরিতি বন্দ্যোপাধ্যায়, কোন ধারাবাহিকে দেখা যাবে তাঁকে?
আরও পড়ুন: বুবলাইয়ের পর এবার মিঠি, একে একে সন্তানরা কেন বিরোধিতা করছে কমলিনীর?
ভিডিয়োর প্রথমেই রূপসা বলেন, ‘আমরা সবাই কমবেশি সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভ। কেউ আনন্দের জন্য করে কেউ আবার প্রফেশনালি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। মোটামুটি যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় আছেন তারা সকলেই জানেন কিছুদিন আগে সোহিনীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া একটি দুর্ঘটনার কথা।’
এরপরেই আসল প্রসঙ্গে আসেন রূপসা। তিনি বলেন, ‘জাস্ট কিছুদিন হয়েছে সোহিনীর সঙ্গে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সবাই বিভিন্ন রকম কমেন্ট করেছেন, পাশে থাকার কথা বলেছেন। তবে এর মধ্যেও কিছু মানুষ আছেন যারা বিভিন্নভাবে সোহিনীকে আঘাত করছেন। একজন মেয়ে বা মা হয়ে কীভাবে অন্য একটি মাকে কুরুচিকর মন্তব্য করছে, সেটাই বুঝতে পারছি না। একজন মহিলা হয়ে অন্য এক মহিলাকে এভাবে আঘাত করা যায় কিনা আমার জানা নেই।’
রূপসা আরও বলেন, ‘একজন মা হয়ে ওঠার যে জার্নি তা খুব সহজ নয়। খুবই পরিশ্রমের। এটা হয়তো তারা বুঝতে পারবে না যারা এখনও মা হয়নি। যাদের বিয়ে হয়নি বা যাদের মা হওয়ার বয়স এখনও হয়নি, তারা এই ব্যাপারটা হয়তো বুঝতে পারবে না। কিন্তু না বুঝলেও যেভাবে অন্য একজনকে তারা অপমান করছেন, সেটা কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।’
পেটে জগন্নাথ আঁকার প্রসঙ্গ টেনে অভিনেত্রী বলেন, ‘অনেকেই জগন্নাথ আঁকার বিষয়ে অনেক রকম মন্তব্য করছেন। আমার মনে হয় এক একজন মানুষ ঈশ্বরকে এক এক রকম ভাবে দেখতে ভালোবাসেন। সবার শ্রদ্ধার জায়গা এক নয়। কিন্তু সেই ব্যাপারটাকে টেনে এনে এই দুর্ঘটনার সঙ্গে তুলনা করার কোনও মানে হয় না।’
আরও পড়ুন: ছোটপর্দায় ফিরতে চলেছেন সৈরিতি বন্দ্যোপাধ্যায়, কোন ধারাবাহিকে দেখা যাবে তাঁকে?
আরও পড়ুন: বুবলাইয়ের পর এবার মিঠি, একে একে সন্তানরা কেন বিরোধিতা করছে কমলিনীর?