আর মাসখানেকের অপেক্ষা তারপরই উমা আসবে বাপের বাড়ি। আর উমার মর্তে আগমন মানেই বাঙালি মাতবে উৎসবে। আর এই দুর্গা পুজোর উৎসবের উদ্দীপনার পাদরকে আরও খানিকটা বাড়িয়ে দিতে এবার বিশেষ উদ্যোগ নিল স্টার জলসার। কারণ এই পুজোর আনন্দ দ্বিগুণ করতে ফের স্টার জলসায় শুরু হচ্ছে 'রবিবার সঙ্গে জলসা পরিবার'। ইতিমধ্যেই জলসার সব পরিবারদের নিয়ে খুশির উদযাপনে সামিল হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে চ্যানেল। আর সেই প্রস্তুতির খুঁটিনাটি দেখতে ও দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিতে সেখানে হাজির হয়েছিল হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
প্রথমে গিয়ে বড় সেটের চোখ ধাঁধানো আলোয় দেখা মিলল স্টার জলসার দুই জনপ্রিয় পরিবারের। 'কথা' পরিবার আর 'বুলেট সরোজিনী' পরিবার। দুই পক্ষই কোমর বেঁধে তৈরি লাখ টাকার দৌড়ে ছোটার জন্য। আর তাঁদের পাশে থেকে পথ দেখানোর কাজ অক্লান্ত ভাবে করে চলেছেন ঐন্দ্রিলা সেন আর 'ভাসান বাপি' থুড়ি রোহন ভট্টাচার্য।
'রবিবার সঙ্গে জলসা পরিবার'-এর হাত ধরে ফের 'ভাসান বাপি'র কামব্যাকে দারুণ খুশি রোহন। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে নায়ক বললেন, ‘একটা চরিত্র কতটা জনপ্রিয় হলে এই ভাবে বার বার ফিরে ফিরে আসে। দর্শকরা ভাসান বাপিকে এতটা ভালোবাসা দিয়েছে বলেই এই ভাবে তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয়।’ তবে বেশ অনেক দিন পর এই বেশে সাজলেন তিনি। আর তাই 'ভাসান বাপি' সেজে স্বভাবতই দারুণ খুশি রোহন। নিজের মধ্যে যেন চরিত্রটা বসিয়ে নিয়েছেন। তাই কোনও ভাবনা ছাড়াই স্বাবলীল ভাবে তিনি ভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পেরেছেন। ক্যামেরা যতক্ষণ অন থাকছে ততক্ষণ ‘ভাসান বাপি’র ফাঁক ফোকড় দিয়ে রোহনের বেরিয়ে আসার কোনও লক্ষণই ধরা পড়েনি।
তবে তাঁকে যে যোগ্য সঙ্গত করছেন তা কথা না বললে, অনেকটাই না বলা থেকে যায় তিনি হলেন ঐন্দ্রিলা সেন। এবারের ‘রবিবার সঙ্গে জলসা পরিবার’-এর নতুন সংযোজন তিনি। তবে অভিনেত্রী এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে এমন ভাবে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছেন যে, দেখে বোঝার উপায় নেই যে এবারই তিনি এই আনন্দ উৎসবে প্রথম অংশ নিয়েছেন।
তবে তাঁরা ছাড়াও স্টার জলসা পরিবারের নানা সদস্য সেখানে ছিল। তাদের মধ্যে প্রথম নজরকাড়ে 'কথা' পরিবার ও 'বুলেট সরোজিনী' পরিবার। শুরুতেই বুলেট সরজিনী পরিবার কথাদের হাতে তুলে দেয় ঘুঁটের উইনার ট্রফি। তবে তা কিন্তু 'কথা' পরিবার নিজেদের লাকি চার্ম বলেই মানে। তবে এখানেই শেষ নয়। ‘কথা-এভি’ আর ‘সরোজিনী-রণদীপ’ জুটি বেঁধে কাপড় কেচে বোঝাপড়ার প্রমাণ দেয়। তাছাড়াও আরও নানান সব মজাদার খেলা আর গানের সুরে সুরে তাল মেলায় দুই পরিবার।
আর তার ফাঁকেই পর্দার 'এভি-কথা' মানে সাহেব ভট্টাচার্য ও সুস্মিতা দের সঙ্গে আড্ডা জমায় হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। সাহেব বলেন, ‘খেলে দারুণ লাগছে। আগের সিজনে আমরা জয়ী হয়েছিলাম। তবে এবার কী হবে জানি না এখনও। তবে আমাদের খেলা তো চলছে। সব মিলিয়ে খুব মজা করছি।’ সুস্মিতাও তাঁর সঙ্গে সায় দিয়ে বলেন, ‘হ্যাঁ, আর সবটাতেই প্রচুর চমক রয়েছে। আমরাও জানি না এরপর কী হতে চলেছে।’
তবে এখানেই শেষ নয় তাঁরা সকলে মিলে ফুচকাও খেয়েছেন। সাহেব নিজে হাতে সুস্মিতাকে ফুচকা খাইয়ে দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে নায়ক বলেন, ‘ফুচকার সঙ্গে একটা প্রেমের যোগাযোগ আছে। তাই ফুচকা নিয়ে কিছু আসা মানেই একটা প্রেমে মুহূর্ত তৈরি হওয়া।’
আর এই দুই পরিবারের খেলা শেষ হলেই মাঠে নামে 'শুভ বিবাহ' আর গৃহপ্রেবেশের পরিবার। তাঁদের মধ্যেও চলতে থাকে জোরদার লড়াই। কেউ কাঊকে একচুল জমি ছাড়তে নারাজ। দুই বাড়ির বউমা মানে 'সুধা' আর 'শুভ' দু'জনেই মশলা এক্সপার্ট। একজন গন্ধ শুকে বলে দেয় কোন মশলা, তো আর একজন শুধু দেখেই মশলার নাম বলে বাজিমাত করে। তবে এই জোরদার টক্করের সঙ্গে চলতে থাকে ‘ডোনা’ আর ‘ভাসান বাপি’র মাখো মাখো রোম্যান্স।
ফলে সব মিলিয়ে সেট জুড়ে ব্যাপক ব্যস্ততা। তার মধ্যেই সুধা তাঁর পরিবারের সকলকে সঙ্গে নিয়ে বলেন, ‘জেতা হারা পরের ব্যাপার। কিন্তু সবটা মিলিয়ে এই যে মজাটা হচ্ছে এটাই আসল।' অন্যদিকে, পর্দার ‘ইমন’ অর্থাৎ পিয়ান গলায় বেশ উত্তেজনা ভরে বলেন, 'দেখছেন তো আমরা উত্তেজনায় ভরপুর, টগবগ করে ফুটছি।’ তাঁর এই উত্তেজনা দেখে পাশ থেকে তাঁর পর্দার স্বামী সার্থক তাঁকে শান্ত করে। অন্যদিকে, শুভ জানায়, খেলতে খেলতে সে ছেলেবেলায় পৌঁছে গিয়েছে।
কিন্তু এখানে শেষ নয় সেই খেলায় আর কী কী চমক আছে তা জানতে হলে অবশ্যই চোখ রাখতে হবে স্টার জলসার পর্দায়। কারণ ১৭ অগস্ট থেকে প্রতি রবিবার স্টার জলসায় বিকাল ৫টা থেকে দেখা যাবে 'রবিবার সঙ্গে জলসা পরিবার'।