
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
ভারতীয় সংগীত প্রেমীদের মধ্যে অন্যতম পরিচিত নাম পলাশ সেন। 'ইউফোরিয়া ' ব্যান্ডের প্রধান মুখ তিনি। প্রায় দু'দশক ধরে পলাশের গাওয়া একাধিক গান ও তাঁর ব্যান্ডের তৈরি সুরে মজেছেন শ্রোতারা। বিশেষ করে তাঁর গাওয়া ' মায়েরি' গানটি এখনও বহু সংগীত প্রেমীর মিউজিক লিস্টে উঁকি মারলেই দেখতে পাওয়া যায়। তবে বহু বছর ধরেই বলিউড থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছেন পলাশ ও তাঁর ব্যান্ড। সম্প্রতি,এই বিষয় নিয়েই মুখ খুললেন তিনি। পলাশ জানান, তিনি কোনওভাবেই মন জুগিয়ে চলার লোক নয়। অর্থাৎ প্রতি কথায় ' জ্বী হুজুর' বলাতে অপারগ তিনি। আরও বলেন, তাঁর আশ্চর্য লাগে যে এই দেশে সিনেমার ইন্ডাস্ট্রি থাকলেও আলাদা করে কোনও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি নেই। অথচ সিনেমার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ মিউজিক। তিনি যে কোনওদিন অর্থ ও খ্যাতির পিছনে ছোটেননি সেকথা স্বীকার করার পাশাপাশি স্পষ্ট করে পলাশ জানান,' আমার ব্যান্ড ইউফোরিয়ার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা ও তার নেতা হিসেবে থাকতে পেরেই আমি ভীষণ খুশি।'
এখানেই না থেমে ফের একবার জোর গলায় পলাশ বলেন যে,ইন্ডাস্ট্রির বড় বড় মাথাদের সামনে ঝুঁকে তিনি তাঁদের মন জুগিয়ে চলতে পারবেন না। তাঁর কথায়,' আমি সবসময় সেরকম গান লিখেছি,সেরকমই সুর তৈরি করেছি যা আমি নিজের মতো করে করতে চেয়েছি। যে গল্পগুলো যেভাবে বলতে চেয়েছি সেভাবেই বলেছি।' এরপরেই তাঁর যোগ, ' আমি খুব গর্বিত এই ব্যাপারে যে ইউফোরিয়া যেভাবে সৎভাবে গান তৈরি করেছে তার সুর শ্রোতাদের জীবনকে ছুঁয়েছে। তাই সেভাবে দেখতে গেলে বলিউড থেকে দূরে থাকার ফলে মানুষের আরও কাছাকছি যেতে পেরেছি আমরা।'বর্তমান সময়ে ছবিতে রিমিক্স গানের আধিক্য নিয়েও ক্ষুব্ধ তিনি। সোজাসুজি বললেন, ' নতুন গান সৃষ্টির বদলে যদি আশি ও নব্বইয়ের দশকের বেশিরভাগ গান যদি এতই রিমিক্স করতে হয় তাহলে আমাদের অবস্থাটা একবার ভাবুন। এতটাই কি কঠিন নতুন গান বাঁধা নাকি করুণ দশা ইন্ডাস্ট্রির ?'
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন পলাশ। জানিয়েছেন নিয়ম ও সতর্কতা মেনে চলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই নিয়েছেন কোভিড ভ্যাকসিনের প্রথম টিকাও। বর্তমানে যদিও তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে তা সত্ত্বেও নতুন গান ও সুর তৈরির কাজ নিজের মতো করে চালিয়ে যাচ্ছেন এই গায়ক ।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports