নিখিল জৈনের সঙ্গে নাকি তাঁর বিয়ে হয়নি। বুধবার নুসরত জাহানের এমন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির পর থেকেই হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়। বসিরহাটের তৃণমূল সংসদকে নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে টুইটার জুড়ে। টুইটার ট্রেন্ডিংয়ে এই মুহূর্তে গোটা দেশে ৩ নম্বরে রয়েছেন নুসরত জাহান। সাইবার দুনিয়ার বাসিন্দারা ব্যাপক ক্ষুদ্ধ নুসরতের উপর। নুসরতের পুরোনো টুইট, ভিডিয়োয় ছেয়ে গিয়েছে টুইটার। গেরুয়া শিবিরের ব্যাপক রোষের মুখে এই তারকা সংসদ। লাভ জিহাদের বলি হয়েছেন নিখিল জৈন। তাঁকে হিন্দু ভোট টানতে ব্যবহার করেছেন নুসরত, ভোটে জিতে এখন ভোট পালটে ফেলেছেন নুসরত দাবি ডানপন্থী সমর্থকদের। 'অসম্প্রদায়িক প্রেম'-এর বাণী নুসরত শোনালেও নিজেই তা মেনে চলেন না অভিযোগ নেটিজেনদের। বরং বিয়ের মতো পবিত্র সমাজিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে ছেলেখেলা করেছেন, দাবি নেটিজেনদের। এমনকি গেরুয়া শিবিরের কটাক্ষের হাত থেকে রেহাই পাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নিখিল-নুসরতের গ্র্যান্ড রিসেপশনে হাজির ছিলেন ‘দিদি’। তাঁদের প্রশ্ন, তবে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যা নুসরত-নিখিলের লিভ ইন রিসেপসনশিপকে মান্যতা দেওয়ার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন'? নুসরত ঠিক কী বলেছেন? ‘তুরস্কের বিবাহ আইন অনুসারে ওই বিয়েটা অবৈধ। তার উপর এটা যেহেতু হিন্দু-মুসলিম বিয়ে সেক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে এই বিয়েতে স্বীকৃতি দরকার। সেটা হয়নি। ফলে এটা বিয়েই নয়। নিখিল আর আমার বিয়ে আইনত অবৈধ, তাই বিচ্ছেদের প্রশ্ন নেই। নিখিলের সঙ্গে আমি লিভ ইন রিলেশনশিপে ছিলাম, যা বহুদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে’।এই সিরিয়াস বিষয় নিয়ে অনেকে মজাদার মিম শেয়ার করতেও পিছপা হননি। কেউ কেউ নমস্তে লন্ডনের ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে নুসরতের তুলনা টেনেছেন, তো অনেকে টেনে এনেছেন ‘ফ্রেন্ডস’ সিরিজের জনপ্রিয় চরিত্রের প্রসঙ্গও। কোন লিভ ইন রিলেশনশিপে গায়ে হলুদ, মেহেন্দি, সাত পাক ঘোরা, মালা বদলের মতো ধর্মীয় রীতি পালন করা হয় সেই প্রশ্ন নুসরতের কাছে রেখেছেন নেটিজেনরা। নিখিল কী বলছেন নুসরতের অভিযোগ নিয়ে?হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে নিখিলের পরিষ্কারভাবে জানান, ‘আমি কোনওদিন মন্তব্য করব না ওঁনার (নুসরত) এই অভিযোগ নিয়ে। কারণ এই বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। কোর্টে সিভিল স্যুট দাখিল করা রয়েছে। এবং আইনজীবীরা তাঁদের কাজ করছেন’।