সম্প্রতি মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরই প্রাক্তন সচিব এবং তাঁর স্ত্রী। তবে শুধু অভিনেতা নন, অভিনেতার এক ঘনিষ্ঠ বিমান সরকারের বিরুদ্ধেও ওই দম্পতি উত্তর কলকাতার চিৎপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
অভিনেতার প্রাক্তন সুমন রায়চৌধুরীর অভিযোগ অনুযায়ী, মিঠুন এবং বিমান সরকার তাঁকে দিয়ে একটি হোটেল ইন্টিরিয়ার ডেকোরেশনের কাজ করিয়ে নেন। প্রথম দফায় বেশ কিছু টাকা দিলেও পরবর্তীকালে অতিরিক্ত কাজ করানো হয় জোর করে। চাপে পড়ে স্ত্রীর গয়না বন্ধক দিয়ে সেই কাজ করে দেন সুমনবাবু।
আরও পড়ুন: আদর্শ শত্রু হলে কী বদলে যায় জীবন? ‘ধুমকেতু’-র ট্রেলার যেন হাজার প্রশ্নের উপাখ্যান
আরও পড়ুন: 'তুই কিন্তু বেশ ঝামেলায় পরে গেলি..', শুভশ্রীর সামনেই দেবকে সাবধানবানী কৌশিকের! কী হল আচমকা?
সুমন বাবুর অভিযোগ অনুযায়ী, মিঠুন চক্রবর্তী এবং বিমান সরকার প্রথমে টাকা দেওয়ার কথা বললেও পরবর্তীকালে বাকি টাকা দেন না। বাকি অংশের কাজ সংক্রান্ত কোনও নথি না থাকার কারণে বিপাকে পড়ে যান সুমনবাবু। মিঠুন চক্রবর্তীর কাছ থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা পান বলে অভিযোগ জানান ওই দম্পতি।
ওই দম্পতি আরও অভিযোগ করেন, মিঠুন চক্রবর্তীর কাছে টাকা চাইতে গেলে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হন সুমন বাবুর স্ত্রী। এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। এই অভিযোগকারীদের আর্জি নিয়েই সম্প্রতি কোর্টের দারস্ত হয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী, যা খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: ‘ধুমকেতু’ ট্রেলার লঞ্চে একে অপরকে আবার ফলো করলেন দেব-শুভশ্রী, তুললেন সেলফিও
আরও পড়ুন: অবশেষে অপেক্ষার অবসান! ১০ বছর পর এক মঞ্চে দেব-শুভশ্রী, তৈরি হল ইতিহাস
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ অনুযায়ী, এই তদন্ত চলবে। তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে মিঠুনকে। যদিও আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিনেতাকে কোনওভাবেই গ্রেফতার করা যাবে না। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর মামলার কেস ডায়েরীর তলব করেন বিচারপতি।