ভারতীয় সিনেমায় অবদানের জন্য দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী। ৩০ সেপ্টেম্বর, সোমবার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব টুইট করে এই খবর ঘোষণা করেছেন।
অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটে) লেখেন, ‘দাদাসাহেব ফালকে বাছাই জুরি কিংবদন্তি অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর আইকনিক অবদানের জন্য পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৮ অক্টোবর ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।’
অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও লেখেন, 'মিঠুন দা'র অসাধারণ সিনেম্যাটিক সফর সব প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা। সিলেকশন জুরি কিংবদন্তি অভিনেতাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় চলচ্চিত্রে মিঠুনজি'র অসামান্য অবদান রয়েছে।' ৮ অক্টোবর ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে মিঠুন চক্রবর্তীকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হবে। তাঁর সেই টুইট পরে সংবাদ সংস্থা ANI-এর তরফে রি-টুইট করা হয়।
মিঠুন চক্রবর্তীকে শুভেচ্ছা জানান খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
আরও পড়ুন-দীর্ঘ ৪ বছরের অপেক্ষা, আবারও ছোটপর্দায় ফিরছেন টেলি দর্শকদের প্রিয় 'বকুল' ঊষসী রায়
এদিকে মিঠুন চক্রবর্তীর দাদাসাহেব ফালকে পাওয়ার খবরে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
১৯৭৬ সালে মৃণাল সেনের 'মৃগয়া' ছবির হাত ধরে সিনেমার দুনিয়া প্রথম পা রাখেন মিঠুন চক্রবর্তী। প্রথম ছবিতে অভিনয়ের পরই অসামান্য অভিনয় নৈপুণ্যের জন্য তিনি সেরা অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি বলিউডে পা রাখেন। ১৯৮২ সালের ডিস্কো ড্যান্সার ছবিকে ‘জিমি’র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, যা ভারত এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের বক্স অফিসে একটি বড় সাফল্য পেয়েছিল।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, তিনি ভারত সরকার কর্তৃক তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মভূষণে ভূষিত হয়েছিল। এছাড়াও ১৯৯১ সালে, তিনি ‘অগ্নিপথ’ ছবিতে কৃষ্ণান আইয়ার নারিয়াল পানিওয়ালার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা হিসাবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন।[ পরে তিনি তাহাদের কথা (১৯৯২) এবং স্বামী বিবেকানন্দ (১৯৯৮) ছবিতে অভিনয়ের জন্য আরও দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেন । শুধু বাংলা কিংবা হিন্দি ছবিতেই নয়, এর পাশাপাশি মিঠুন চক্রবর্তী ওড়িয়া, ভোজপুরি, তামিল, তেলুগু, কন্নড় এবং পাঞ্জাবি ছবি সহ ৩৫০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন । তিনি লিম্কা বুক অফ রেকর্ডসে ১৯৮৯ সালে প্রধান অভিনেতা হিসাবে ১৯টি ছবি মুক্তির রেকর্ডধারী।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতার 'শাস্ত্রী' ছবির শ্যুটিং শেষ করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। খুব শীঘ্রই মুক্তি পাচ্ছে মিঠুন-দেবশ্রী জুটির এই ছবি।