ম্যাজিক কার্ডই যেন ম্যাজিক করল। মিঠাইদের প্রস্তাবে প্রায় রাজি অনুরাধা। না, নিজের মুখে কিছুই বলেনি সে। কিন্তু হল্লা পার্টির কথা যে সে ফেলবে না, সে কথাই জানিয়ে দেয় আকারে-ইঙ্গিতে। তাঁর সম্মতিতে উচ্ছ্বসিত সিদ্ধেশ্বর। খুশি মিঠাই, রাহুল, শ্রীতমারাও।
বিয়ে প্রায় ঠিক হয়ে গেল। কিন্তু পাত্র কিছুই জানে না। প্রথম স্ত্রীর আঁকড়ে বসে সে। আরতির জন্মদিনে তার প্রিয় মিষ্টি নিয়ে আসে সমরেশ। সিদ্ধার্থ জানিয়ে দেয়, মায়ের জন্মদিন পালন করা হবে 'মনোহরা'য়। আমন্ত্রণ জানানো হয় অনুরাধাকেও। শুরু হয়ে যায় তোড়জোড়। শাশুড়ির জন্মদিন উপলক্ষে নিজের হাতে পায়েস রাঁধে মিঠাই। বাড়ি জুড়ে শুধু আরতিরই কথা।
সন্ধ্যা হতেই বাড়ির বৈঠকখানায় একত্র হয় সকলে। আসে অনুরাধাও। আরতির স্মৃতিচারণ করে পরিবারের সদস্যরা। মায়ের ছবির সামনে বসে গান করে সিদ্ধার্থ এবং শ্রীতমা। সেই সুরে-কথায় আরও একবার মনে করা হয় আরতিকে।
স্ত্রীর স্মৃতি ভুলে কি জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করবে সমরেশ? অনুরাধাকে জীবন সঙ্গী হিসেবে মেনে নেবে সে? নাকি নতুন কোনও জাদুকাঠি ঘোরাবে মিঠাই? এমনই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে মুখিয়ে মিঠাই অনুরাগীরা।