ঋতুপর্ণ ঘোষ সঞ্চালিত অনুষ্ঠান ‘ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি’-র সেই বিষ্ফোরক এপিসোড ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এখনও তা সকলেই মনের মধ্যে রয়ে গিয়েছে। তবে শুধু ঋতুপর্ণ নয়, সেদিন সেই এপিসোডের পর মীরকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন সকলে। তবে, তাতে ভালোবাসা কমেনি দু'জনের। বরং, এখনও মীর আফসার আলির কাছে ঋতুপর্ণ ঘোষ খুব কাছের। আর তাই ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মবার্ষিকীতেও সেই ‘ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি’-র স্মৃতি উসকে ভালোবাসায়, আবেগে ভাসলেন মীর।
আরও পড়ুন: 'রাত তিনটে সময় অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কাকুতি-মিনতি করে…', মা চাঁদনির নাম না করেই ট্রোলারদের জবাব অহনা!
মীর রবিবার ইনস্টাগ্রামে ঋতুপর্ণ ঘোষের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর ও পরিচালকের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘আজও! আজও অনেকে আছেন যাঁরা ভাবেন আমাদের বুঝি মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই ২০১১ সালে, ঘোষ & Co.-র পর থেকে। আমরা নাকি sworn enemies ছিলাম। একে অপরকে নাকি সহ্য করতে পারতাম না। আমি কিন্তু আজও মানুষটির জাবরা ফ্যান। আজ তাঁর জন্মদিন। তাই খুব স্বাভাবিক নিয়মে এই পোস্ট। And by the way, he’s still my favourite ‘phenomena of discussion’ on various platforms… বোধ হয় কোথাও ওঁর ওই হাসি মুখে মিথ্যে রাগ ঝুলিয়ে ’এক মারবো শয়তান!!' বলা’টা শোনার লোভে…'।
তাঁর এই পোস্ট দেখে অনুরাগীরা ভালোবাসায় ভরে দিয়েছেন। একজন লেখেন, ‘আমি অন্তত জানি মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল না। কারণ তারপর ঋতুদা মীরাক্কেলে এসেছিলেন।’ আর একজন লেখেন, ‘সভ্য মতবিরোধ এবং সমালোচনা একসময় আমাদের সংস্কৃতির শক্তি ছিল। সাক্ষাৎকারে আপনার মুখোমুখি হওয়ার সাহস তাঁর ছিল এবং আপনারও ছিল তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির মুখোমুখি হওয়ার সাহস। লুকনো অনলাইন সেনাবাহিনীর পিছনে কেউ লড়াই করছিল না। এটাই চেতনা।’
আর একজন লেখেন, ‘কিংবদন্তিদের কখনও মৃত্যু হয় না।’ আর এক অনুরাগী কমেন্ট করেন, ‘ঋতুপর্ণ ঘোষের মৃত্যু, বাঙালির একটা বড় ক্ষতি। ওঁর লেখার আমি খুব বড় ফ্যান, লেখক হিসেবে ঋতুপর্ণ ঘোষকে আমি মিস করি।’