কাগজে কলমে স্বামী-স্ত্রী হলেও বহু দিন ধরেই আলাদা থাকছেন যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা শর্মা। এক শহরে থেকেও তাঁদের মুখ দেখাদেখি নেই। যদিও এই প্রসঙ্গে সর্ব সমক্ষে তাঁদের দু'জনের কেউই এখনও মুখ খোলেননি। বর্তমানে তাঁরা দু'জনেই দু'জনের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। একসঙ্গে একটি প্রযোজনা সংস্থা চালাতেন যিশু-নীলাঞ্জনা।তাঁদের বিচ্ছেদের জের এসে পড়েছে কর্মক্ষেত্রেও। নীলাঞ্জনা নতুন প্রোডাকশন হাউজ চালাচ্ছেন। অন্যদিকে, যিশুও সৌরভের সঙ্গে মিলে নতুন প্রযোজনা সংস্থার শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: 'রাত তিনটে সময় অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কাকুতি-মিনতি করে…', মা চাঁদনির নাম না করেই ট্রোলারদের জবাব অহনা!
TV9 বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নীলাঞ্জনার ও তাঁর প্রযোজনা সংস্থা আলাদা হয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম তা নিয়ে মুখ খুললেন যিশু। নায়ক বলেন, ‘নীলাঞ্জনার সঙ্গে প্রযোজনা সংস্থা থাকলে আমি অবশ্যই সেটাই চালিয়ে যেতাম। তবে ও এখন খুব ভালো কাজ করছে। বেশ কিছু নতুন নতুন মেগা শুরু করেছে। ওঁকে অনেক শুভেচ্ছা।’
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে যিশু বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি কোনও কথা বলতে চাই না। আগেও বলিনি। আজও বলতে চাই না। অনেকের অনেক ধারনা রয়েছে। তবে আমি একটা কথাই বলব, বাইরে থেকে শুধু বইয়ের কভার দেখে, বইটার বিচার করতে যাবেন না। এটা নিয়ে আমি কোনও দিনই মুখ খুলব না, কারণ আমার ব্যক্তিগত কিছু কারণ আছে। তবে এমন কিছু মানুষ অবশ্যই আছেন যাঁদের সঙ্গে একটা নিয়ে আলোচনা করেছি, যতটা করা যায়। না হলে তো পাগল হয়ে মারা যেতাম। তবে আমি তাঁদেরও বলে দিয়েছি, যদি তাঁরা এটা নিয়ে বাইরে কথা বলেন, তাহলে তাঁদের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুটো মানুষ এক জায়গায় থাকতে পারছে না। ছোটো বেলায় আমরা তিন বন্ধু বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলাম। তার মধ্যে একজনের সঙ্গে আমার সমস্যা হল। তারপর তাঁর আর আমার সেভাবে বন্ধুত্ব থাকল না। তবে আমি আর আমার আর এক বন্ধু বেস্ট ফ্রেন্ড হয়েই থেকে গেলাম। তেমন আমরাও বন্ধু ছিলাম। কিন্তু এটা হতেই পারে একটা জায়গায় আমাদের মতের অমিল, মিল, শ্রদ্ধা, একসঙ্গে থাকা সবটাই একটা পয়েন্টে মনে হতেই পারে ঠিক ভাবে হচ্ছে না। তাঁর মানে এই নয় যে, আমি মানুষটার বিরুদ্ধে চলে যাব। আমি বিশ্বাস করি যদি কোনও সমস্যায় পড়ে আমি ওঁর পাশে থাকব।’
মেয়ের সারার সঙ্গে এই ঘটনার জেরে আর যিশুকে দেখা যায় না। এমনকী সারা আনফলো করেছেন বাবাকে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সারা প্রসঙ্গে নায়ক বলেন, 'সারাকে নিয়ে আমি খুব গর্বিত। ও আমার থেকেও যথেষ্ঠ স্মার্ট। আমি ওঁর ছবি পেলেই যাঁরা আমার কাছের তাঁদের দেখাই। ও খুব ভালো কাজ করছে। পুরোটাই ও নিজে করেছে। আমি কখনওই বলব না যে আমি বা নীলাঞ্জনা ওঁকে সাহায্য করেছি। ও সবটা নিজে করেছে। ও যা করেছে আমি কখনও তা পারতাম না।