বিয়ের পর স্বামী ডাঃ শ্রীরাম নেনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেন অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। প্রায় ১০ বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাটিয়েছেন তিনি। ভারতে প্রথম সারির নায়িকা, বড় সুপারস্টার ছিলেন অভিনেত্রী। তবে বিদেশের মাটিতেও ভক্তদের এড়াতে পারেননি তিনি। আমেরিকায় স্বাভাবিক জীবন উপভোগ করতেন তিনি। তবে সবসময় সেইটা হয়ে উঠত না।
অভিনেতা সৌম্য ট্যান্ডনের সঙ্গে শো চলাকালীন কথা বলতে গিয়ে মাধুরী জানিয়েছিলেন, ভক্তদের থেকে কীভাবে পালিয়ে বেড়াতেন তিনি। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন অভিনেত্রীকে ডেনভার, কলোরাডোতে তাঁর বাড়িতে দেখার চেষ্টা করত। মাধুরী বলেন, ‘অনেকেই জানতে পারত আমি ডেনভারে থাকি। গাড়ি আমার বাড়ির চারপাশে চক্কর দিত এবং যখন তারা তৃতীয় চক্কর দিত, আমার প্রতিবেশীরা ভয় পেয়ে যেতেন। একবার আমার গেটের ঠিক বাইরে একটি গাড়ি দাঁড় করানো ছিল এবং অনেকক্ষণ ধরে লোকে গাড়ি ভিতর বসা ছিল। এরপর আমার প্রতিবেশী আমায় ডাকলেন, ‘আমার মনে হয় কিছু একটা হচ্ছে। আপনার দরজার ঠিক বাইরে একটি গাড়ি আছে এবং এটি গত তিন ঘণ্টা ধরে নড়েনি। আমাদের কি পুলিশ ডাকতে হবে? আমার ভয় করছে।' আমি তাকে বললাম ভয় পেও না। আমি নিশ্চিত, এটা কেউ আমাকে শুধু দেখার জন্য এসেছিল।' আরও পড়ুন: ‘গুটখার বিজ্ঞাপনেই টাকা উঠে আসে! আমার ছবি করবেন কেন’, কাদের নিয়ে বললেন প্রকাশ ঝা
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের গাড়ি ধোওয়ার একটা অভ্যেস ছিল। বাচ্চাদেরও জলের মধ্যে অনেক ভালো লাগত, সাবান দিয়ে খেলত। গাড়ি ধুচ্ছিলাম, সেই সময় পাশ কেটে কোনও এক ভক্তের গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। বলে উঠেছিলেন, আরে মধুরী দীক্ষিত গাড়ি ধুচ্ছে দেখুন।' আরও পড়ুন: মুক্তি পেল দেব-প্রসেনজিৎয়ের ‘কাছের মানুষ'-এর নতুন গান, গেয়েছেন সোনু নিগম
মুদি দোকানে ভক্তের থেকে পালানোর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মাধুরী এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘ভারতে, আপনি আপনার সহায়কারীর উপর নির্ভরশীল। আপনি তাদের উপর সবকিছু ছেড়ে দিতে পারেন, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আপনাকে রান্না করতে হবে, ঘর পরিষ্কার করতে হবে, মুদি কিনতে হবে, সবকিছু নিজেরই করতে হবে। আমার মনে আছে যখন আমি প্রথমবার ইউএস-এ মুদি কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম, তখন আমার বুক ধড়ফড় করছিল। তারপর, আমার খুব ভালো লেগেছিল। এটা এখানে স্বাধীনতার অনুভূতি।’