১৯৯৯ সালের ১৭ অক্টোবর ডক্টর শ্রীরাম নেনেকে বিয়ে করে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন বলিউডের অন্যতম সুন্দরী অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। কেরিয়ার ছেড়ে দুই সন্তানকে মানুষ করেছিলেন তিনি। তবে ২০১১ সালে স্বামীকে নিয়ে আবার পাকাপাকিভাবে ভারতে বসবাস করতে শুরু করেন মাধুরী, শুরু করেন কাজও। তবে মাধুরীর স্বামীর ভারতে পাকাপাকিভাবে চলে আসার বিষয়টি নিয়ে ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মাধুরীর শ্বশুর-শাশুড়ি।
সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মাধুরীর স্বামী শ্রীরাম নেনে বলেন, ‘আমি একজন ভারতীয়, তবে ছোট থেকেই আমি বিদেশে বড় হয়েছি। আমি যখন ভারতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তখন আমার বাবা মা একেবারেই খুশি ছিলেন না। বিদেশের চাকরি, বন্ধুবান্ধব সবকিছু ছেড়ে ভারতে আসায় কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন তাঁরা।’
আরও পড়ুন: 'ওঁর মতো কেউ হবে না...', নানার সঙ্গে কাটানো কোন মজার মুহূর্ত তুলে ধরলেন পরেশ?
আরও পড়ুন: ফের বড় পর্দায় বিক্রান্ত, 'হোয়াইট' ছবিতে ফুটে উঠবে কোন অজানা গল্প?
নেনে বলেন, ‘আমি ১৪ বছর বয়সে একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করতাম। কিন্তু আমার পরিবারের সদস্যদের স্বপ্ন ছিল আমি ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হব। তাই ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনা করার পর আমি ডাক্তার হিসেবে নিজের কেরিয়ার তৈরি করি। পরবর্তী সময়ে চাকরির প্রতি আমার ভালোবাসা তৈরি হয়ে যায়।’
মাধুরীর স্বামী বলেন, 'আমি যখন কোনও রোগীকে সুস্থ করে হাসপাতাল থেকে ছাড়তে পারতাম, তখন তাঁদের পরিবারের মুখের হাসি দেখে ভীষণ ভালো লাগত। কিন্তু পরে আমার মনে হল এই সুযোগ সুবিধা সকলে পান না। এই বিশ্বে ৭ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে বহু মানুষ আছেন যারা চিকিৎসার অভাবে মারা যান। পরবর্তীকালে আমি ঠিক করি, টেকনোলজি এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে চিকিৎসার ন্যূনতম জ্ঞান যাতে সকলের মধ্যে পৌঁছে যায়, সেই চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: প্রথমবার বিহারে শ্যুটিং পঙ্কজের, আপ্লুত অভিনেতা বললেন, 'মনে হচ্ছে যেন বাড়িতেই...'
আরও পড়ুন: দ্বিতীয়বার মারণ রোগে আক্রান্ত, চিকিৎসার মধ্যেই নতুন আপডেট দিলেন তাহিরা
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে INK - এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও লক্ষ্মী প্রতুরি আয়োজিত প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডক্টর নেনে মজার সুরে বলেন, মাধুরীকে বিয়ে করার পর আমার জীবন অনেক পাল্টে যায়। একটা সময় ছিল যখন সেলিব্রিটিরা আমার পেশেন্ট ছিলেন, এখন আমি নিজেই সেলিব্রেটি হয়ে গিয়েছি। এখন আমাকে দেখলেই মানুষ সেলফি তুলতে চান। জীবনের অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে ওকে বিয়ে করে।