২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ক্রেজি ৪ ছবিটির যিনি পরিচালক ছিলেন সে জয়দীপ সেন বর্তমানে হাইপারট্রপিক অবস্ট্রাক্টিভ কার্ডিওমায়োপ্যাথি বা HOCM নামক একটি রোগে আক্রান্ত। এটি এক ধরনের হার্টের অসুখ যেখানে হার্ট প্রতিস্থাপন করতে হয়। কিন্তু এই সার্জারির জন্য বিপুল অর্থ লাগে যা জয়দীপের কাছে ছিল না। ফলত এক প্রকার বাধ্য হয়েই ক্রাউড ফান্ডিং করতে হয় তাঁকে নিজের চিকিৎসা করানোর জন্য।
কী জানিয়েছেন জয়দীপ সেন?
জয়দীপ সেন তাঁর স্বাস্থ্যের আপডেট দিয়ে জানিয়েছেন, 'এই বছর আমায় দুবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি আর মে মাসে। মৃত্যুর প্রায় মুখ থেকে ফিরে এসেছি আমি দ্বিতীয়বার। তিন দিন ভেন্টিলেশনে ছিলাম। আমার কার্ডিওলজিস্ট তখন আমায় জানান আর উপায় নেই এবার হার্ট প্রতিস্থাপন করতে হবেই।'
তিনি আরও জানান ২০১১ সাল থেকেই তাঁর এই সমস্যা ছিল। কৃষ ৩ ছবিতে তিনি যখন রাকেশ রোশনের সঙ্গে কাজ করছিলেন তখন একদিন তিনি রাকেশের অফিসে জ্ঞান হারান। তারপরই এই অসুস্থতার কথা তিনি জানতে পারেন। তাঁর ICB বা ইমপ্ল্যান্টেবল কার্ডিওভার্টার ডিফিব্রিলেটর বসানো ছিল ১৩ বছর ধরে, এটা হার্টকে শক দেয় মাত্রা বেড়ে গেলেই। এটা তাঁকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচায়।
জয়দীপ সেন জানিয়েছেন বর্তমানে তিনি মুম্বইয়ের হার্ট প্রাপকের তালিকায় ১ নম্বরেই আছে। তাঁকে এই সার্জারির জন্য ৩৫ লাখের এস্টিমেশন দেওয়া হয়েছে। যদিও হাতে আরও লাখ ১৫ রাখার কথা বলেছে হাসপাতাল। তিনি এই ৩৫ লাখ টাকা জমা দেওয়ার পরই তাঁর হার্টের সার্জারি করানো হবে যে সেটা নিশ্চিত করবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তাঁর সঞ্চিত নেই। তাই তিনি বাধ্য হয়েই ক্রাউড ফান্ডিংয়ের পথ বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাস্তবেও যৌন আসক্তি ছিল 'হীরামান্ডি'র কুখ্যাত পুলিশ অফিসারের! জ্যাসন শাহ বললেন, 'সহজ ছিল না...'
তবে জয়দীপ একই সঙ্গে জানিয়েছেন যে ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই তাঁর এই কথা জানতে পেরে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। যে যাঁর সামর্থ্য মতো টা কী সাহায্য করেছেন।