‘লেডিস’, ‘ছক্কা’ একসময় এমন অনেক বিদ্রূপ মন্তব্যের শিকার হতে হয়েছিল করণ জোহরকে। শৈশব এবং যৌবনকালে শরীরের গঠন, হাঁটার ধরন এমনকি কণ্ঠস্বর নিয়েও বারবার ঠাট্টা তামাশার শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। তবে এসবের মধ্যেও একমাত্র বাবা মায়ের কাছেই তিনি মন খুলে কথা বলতে পারতেন। কিন্তু নিজেকে মেলে ধরার জন্য বাবা-মায়ের থেকে লুকিয়ে ভয়েস এক্সারসাইজ করতে যেতেন করণ। পরিবারকেও জানান নি সে কথা।
করণ জোহর, ইন্ডাস্ট্রির এমন একজন পরিচালক যার হাত ধরে তারকা হয়েছেন বহু অভিনেতা অভিনেত্রী। নেপোটিজম নিয়ে করণকে বহুবার বিদ্রুপে শিকার হতে হয়েছে, যদিও তাতে বিন্দুমাত্র পাত্তা দিতে নারাজ পরিচালক। তবে চিরকাল এমনটাই ছিলেন না তিনি। ঠাট্টা তামাশা অথবা বিদ্রুপ তাঁরও গায়ে লাগত, ভেঙে পড়তেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুসলিম হয়েও হিন্দু রীতি মেনে পুজো উরফির, হামাগুড়ি দিয়ে গেলেন কোন মন্দিরে?
আরও পড়ুন: পেঁয়াজ-রসুনে না, নিজস্বী তুলতেও বাধা! মেট গালায় যেতে মানতে হবে কী কী আজব নিয়ম?
সম্প্রতি রাজ সামানির সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে করণ জোহর বলেন, ‘একটা সময় ছিল যখন আমার কণ্ঠস্বর বা চলাফেরার ধরন নিয়ে সবাই ঠাট্টা করত। আমার গলার আওয়াজ নাকি মেয়েদের মতো, তাই সবার কাছে বারবার অপদস্ত হতে হতো আমাকে। একটা সময় নিজেকে মেলে ধরতে ভয় পেতাম। নিজের কন্ঠস্বর ঠিক করতে পাবলিক স্পিকিং ক্লাসেও ভর্তি হয়েছিলাম আমি।’
পরিচালক বলেন, ‘বাবা মায়ের কাছে আমি মন খুলে কথা বলতে পারতাম। বাবা আমাকে নাচ করতে বলতেন, বলতেন অভিনয় করতে। মন খুলে সেই সমস্ত কাজ করতে বলতেন যা আমি ভালোবাসি। কিন্তু যখন আমি পাবলিক স্পিকিং ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলাম, সে কথা লজ্জায় বলতে পারিনি বাবাকে। বাবাকে বলতাম, কম্পিউটার ক্লাসে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: কিং বেশে শাহরুখ, রাজকীয় অবতারে দিলজিৎ, মেট গালায় চমক দিলেন ভারতীয় তারকারা
আরও পড়ুন: ইনফ্লুয়েন্সারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর লেখেন খোলা চিঠি, চেনেন বাবিলের প্রাক্তনকে?
করণ বলেন, ‘দুই-তিন বছর বাড়ি থেকে লুকিয়ে ক্লাস করার পর ধীরে ধীরে আমার কণ্ঠস্বরে বদল আসে। অনেক পরে আমি বাবাকে জানিয়েছিলাম যে আমি কম্পিউটার ক্লাস নয় বরং পাবলিক স্পিকিং ক্লাসে ভর্তি হয়েছি। তবে আমি যে লজ্জা পেয়েছিলাম সেই লজ্জা যেন অন্য কেউ না পায়। আমি সকলকে পরামর্শ দেব, কারও জন্য নিজেকে পরিবর্তন করো না। যদি তুমি মনে কর যে তুমি সঠিক পথে আছো তাহলে সেই পথেই চলবে।’