নবনীতা দাস আর জিতু কমলের বিচ্ছেদের খবর যবে থেকে সামনে এসেছে, তবে থেকেই চর্চায় রয়েছেন এই দম্পতি। তবে এই খবরে মশলা হিসেবে কাজ করেছে, নবনীতা আর স্নেহালের ‘পরকীয়া’। বিচ্ছেদ থেকে শুরু করে, স্নেহালকে নিয়ে চর্চা সব নিয়ে একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন ‘বিয়ের ফুল’ অভিনেত্রী। তবে একটু চুপ জিতু। সেভাবে বিতর্ক নিয়ে কথা বলতে চাননি মিডিয়ার সঙ্গে। প্রশ্ন এলে যতটা সম্ভব এরিয়ে যাওয়ারই চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর শেয়ার করা স্টোরিগুলো অনেকের কপালেই ভাঁজ ফেলেছে, মনে তুলছে প্রশ্ন!
২০১৯ সালের ৬ মে অগ্নিসাক্ষী রেখে নবনীতাকে বিয়ে করেছিলেন জিতু। আলাপ যদিও হয়েছিল ‘অর্ধাঙ্গিনী’ (২০১৮) ধারাবাহিকে কাজ করতে গিয়ে। সেইসময় নবনীতাই বিয়ের জন্য প্রপোজ করেছিল জিতুকে। পর্দার ঈশ্বরী-আয়ুশ প্রেম গড়ায় বাস্তবেও। যার পরিণতি বিয়ে। কিন্তু চার বছর যেতে না যেতেই ছন্দপতন। আলাদা হল ছাদ ২০২৩ সালে এসে। চার বছরের বিবাহবার্ষিকীর দিনকয়েক পরেই অভিনেত্রী ফেসবুকে লেখেন, ‘আমাকে সব কিছু সামলানোর জন্য তুমি ইতিমধ্যেই প্রস্তুত করে দিয়েছো, গ্যাস বুকিং থেকে মেডিক্লেম পে সবটাই শিখিয়ে দিয়েছো.. তবুও এটাই শ্রেয়, কারণ আমরা দুজন দুজনের সাথে ভালো নেই.....প্রেম, বন্ধুত্ব, বিয়ে এইসব নিয়ে এক বর্ণময় অধ্যায় এর ইতিটা নয় এইভাবেই হোক... ভালো থেকো জিতু কমল।’
আরও পড়ুন: 'ইন্ডাস্ট্রি নই, আমি এখনও জ্যেষ্ঠপুত্র', বলছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
ডিভোর্স বিতর্কের আগুনে ঘি পরে যখন নবনীতা আর তাঁর চর্চিত প্রেমিক স্নেহালের সোশ্যাল মিডিয়ায় একই লোকেশন থেকে একই সময়ে দুটো পৃথক ছবি আসে। গোয়ার সেন্ট রেগিস হোটেল রুমের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে তোলা হয়েছিল ফোটো দুটি। এমনকী দুজনের ছবির ক্যাপশনও ছিল এক- ‘উইকএন্ড হো তো অ্যায়সি’। স্নেহালের ছবিতে লাইক ছিল নবনীতারও। যা দেখে দুইয়ে দুইয়ে চার করেন নেট নাগরিকরা। ধারণা করা হতে থাকে, একসঙ্গেই ছিল উইকেন্ড-যাপন।
জিতুর ইনস্টা স্টোরি
দিনকয়েক আগেই জিতু বুঝিয়েছিলেন তাঁর মন মজেছে জিমে গিয়ে শরীরচর্চায়। আজকাল কসরতের নানা ছবি-ভিডিয়ো দিয়ে থাকেন অপরাজিত-নায়ক। এদিনও দিলেন জিম থেকে মিরর সেলফি। সাদা টি-শার্ট, কালো ট্র্যাক প্যান্ট, মাথায় টুপি। ক্যাপশনে লেখা, ‘নিজের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে নজর দাও। কাউকে খুশি করার দরকার নেই। নিজে ভালো থাকাটাই সবচেয়ে জরুরি।’

জিতুর ইনস্টা স্টোরি।
দিনকয়েক আগে তাঁকে আর স্নেহালকে নিয়ে শুরু হওয়া প্রেম-চর্চায় মুখ খোলেন নবনীতা নিজেও। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘কেউ ভালো জিনিস নিয়ে কথা বলছে তখন খুশি হলাম, আবার কেউ খারাপ বললে মন খারাপ এটা ঠিক নয়। কারুর সোশ্যাল মিডিয়া কমেন্ট আদালতের রায় নয়, কেউ নিজের মনের ভাবনা জানিয়েছে এইটুকুই। আমি সেইরকমভাবেই নিই কথাগুলো।’