পুজো মানেই মহালয়ার ভোর। আর মহালয়ার ভোর মানে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। তবে বর্তমান সময় কিছুটা বদলেছে। এখন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও মহালয়ার ভোরে 'মহিষাসুরমর্দিনী' দেখানো হয়। সেখানেও থাকে নানা চমক। দেবী দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী রূপ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি রূপের গল্প তুলে ধরা হয়। আর সেই সব রূপগুলিতে দেখা মেলে ওই চ্যানেলের সব মেগার নায়িকাদের। তবে মহিষাসুরমর্দিনী কে হবেন তা নিয়ে দর্শকদের মধ্যে একটা আগ্রহ সব সময় কাজ করে। সম্প্রতি স্টার জলসা তাদের 'মহিষাসুরমর্দিনী'র অনুষ্ঠানের প্রোমো প্রকাশ্যে এনেছে। আর এবার জানা গেল এবছর মহালয়ায় কে হচ্ছেন মহিষাসুরমর্দিনী।
আরও পড়ুন: 'বাবা আমায় দোকানে গিয়ে কখনও স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে দেননি…', মমতার মন্তব্যে বিস্ফোরক ইমন
স্টার জলসা যে প্রোমোটি প্রকাশ্যে এনে ছিল সেটা ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা নির্মিত। ফলে কে 'মহিষাসুরমর্দিনী' হচ্ছেন তা বোঝা যায়নি। তবে আজকালের একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ কয়েক বছরের মতো এবছরও 'মহিষাসুরমর্দিনী' হচ্ছেন কোয়েল মল্লিক। অন্যদিকে, এবার মহালয়ার ভোরে স্টার জলসায় ভগবান শিবের ভূমিকায় দেখা যাবে ‘পরশুরাম’ অর্থাৎ ইন্দ্রজিৎ বসুকে। তাছাড়াও প্রতিবারের মতো এবছরও মেগার নায়িকাদের দেবীর নানা রূপে দেখা যাবে।
স্টার জলসার মহিষাসুরমর্দিনীর প্রথম প্রোমোয় কী দেখা গিয়েছে?
পঞ্জিকা মতে, এবছর দেবীর আগমন হবে গজে। আর সেই ছোঁয়াই পাওয়া গেল স্টার জলসা ‘মহিষাসুরমর্দিনী’র প্রথম প্রোমোয়। প্রোমোর শুরুতেই দেখা গিয়েছে একটা রুক্ষ-শুষ্ক অঞ্চলে বেশ কিছু শকুন বসে। আর শকুন দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেখানে যথেষ্ট ধ্বংস লীলা চলেছে, মানব জীবন বিপর্যস্ত। আর তার মাঝেই সেই শুকনো মরুতে নূপুর পরা আলতা রাঙা দেবীর চরণ। দেবীর চরণ স্পর্শে সেই শুকনো মাটি হয়ে ওঠে সুজলা সুফলা শষ্য শ্যামলা। তারপর দেখা যায় গজরাজ অর্থাৎ হাতির পা। আবহ থেকে একটি কন্ঠে শোনা যায়, ‘মা আসছেন গজে, নিয়ে আসছেন শান্তির আশীর্বাদ।’ তারপরই দেবীর বাহন সিংহকে দেখা যায় হুঙ্কার ছাড়তে। গাছের ডালে উড়ে এসে বসে দেবী লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা।
আরও পড়ুন: গলায় জবার মালা, কপালে তৃতীয় নয়ন যেন মা ভবতারিণী! চিনতে পারলেন টলিপাড়ার এই নায়িকাকে?
ফের আবহ থেকে শোনা যায়, ‘শষ্য শ্যামলা হয়ে উঠবে পৃথিবী।’ আর পর্দায় তখন দেবী ত্রিশূল হাতে হাতির পিঠে। সোনালি ধানে ভরা মাঠ দিয়ে মৃদুমন্দ গতিতে এগিয়ে চলেছে গজরাজ, আর তাঁদের দূর থেকে দেখছে কার্তিকের বাহন ময়ূর। আর গজরাজে উপবিষ্ট দেবীর পিছে পিছে আসছে বনের সব পশুরা। তারপরই আবহ থেকে ভেসে আসে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে সেই অতি পরিচিত ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। এরপর দেখা যায় 'মাতৃরূপেণ সংস্থিতা' আসছে।