হিন্দি পপ সঙ্গীতের দুনিয়ার উজ্জ্বল তারকা তিনি। নব্বইয়ের দশকে বেড়ে ওঠা জেনারেশন তাঁর গান শুনেই বড় হয়েছে। ইউফোরিয়া শুধু একটা ব্যান্ডের নাম নয়, এটা একটা ইমনোশন। এই ব্যান্ডের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে পলাশ সেন। ইউফোরিয়া নামটার সঙ্গেই জড়িয়ে অজস্র মিষ্টি স্মৃতি। পপ সংগীতের যুগ শুরু হয়েছিল, তখন ডাক্তারি ছেড়ে পলাশ সেন এই জগতে পা দেন। ধুম পিচাক ধুম, মাইরির অ্যালবামগুলি কেবল মানুষের মন গেঁথে রয়েছে। আজও পলাশ সেনের কন্ঠস্বর ততটাই উজ্জ্বল এবং স্মরণীয়। কিন্তু খুব কম লোকই জানেন পলাশ সেনে সম্পর্কিত এই তথ্য।
তিনি তাঁর মায়ের মঙ্গলসূত্র পরে মঞ্চে গান পরিবেশন করেন। মঞ্চে গান গাওয়ার সময় পলাশ সেন তাঁর গলায় মায়ের মঙ্গলসূত্র পরিধান করেন। এর পেছনের গল্প আপনাকে ইমোশন্যাল করে তুলবে। দেশ ভাগ হওয়ার সময় পলাশের মা, পুষ্পা সেনের বয়স ছিল মাত্র আট বছর। লাহোর থেকে জম্মু পর্যন্ত ছোট ভাইয়ের হাত ধরে পায়ে হেঁটে যান তিনি। এই সাহস এবং উদ্দীপনা তাঁর গোটা জীবনের পরিচয় হয়ে ওঠে। তিনি ডাক্তার হয়ে সমাজের সেবা করেছিলেন এবং তাঁর ছেলেকে সেই শিষ্টাচার দিয়েছিলেন। পলাশ জানান, বাবার মৃত্যুর পর তাঁর মা তাঁর মঙ্গলসূত্র খুলে ফেলেন। সেই মুহূর্তে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এটি কেবল একটি রত্ন নয়, এতে একজন মায়ের সংগ্রাম, ভালবাসা এবং আশীর্বাদ নিহিত রয়েছে। তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে মঞ্চে নামার সময় তিনি এটি পরবেন, যাতে মায়ের আশীর্বাদ প্রতিটি গানে, প্রতিটি সুরে তাঁর উপর থাকে।

বিশেষ ব্যাপার হলো, পলাশ সেন শুধু একজন মহান গায়কই নন, একজন মেধাবী চিকিৎসকও। তিনি দিল্লির হংসরাজ কলেজে পড়াশোনা করেছেন, যেখানে তাঁর সহপাঠী ছিলেন শাহরুখ খান।