চলচ্চিত্র সম্পাদক নিশাদ ইউসুফকে ৩০ অক্টোবর বুধবার ভোরে কোচিতে তার বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। তার বয়স হয়েছিল ৪৩ বছর। মালয়ালম সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, রাত ২টো নাগাদ কোচির পানামপিল্লি নগরে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। তবে মৃত্যুর কারণ এখনও জানাতে পারেনি পুলিশ। তদন্ত চলছে, তবে পুলিশ কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত কোনও বিবৃতি প্রকাশ করেননি।
ফিল্ম এমপ্লয়িজ ফেডারেশন অব কেরালার (এফইএফকেএ) ডিরেক্টরস ইউনিয়ন তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে নিশাদ ইউসুফের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। চলচ্চিত্র সংস্থাটি বিখ্যাত সম্পাদকের একটি ছবি শেয়ার করেছে এবং মালয়ালম ভাষায় লিখেছে: ‘চলচ্চিত্র সম্পাদক নিশাদ ইউসুফের অপ্রত্যাশিত মৃত্যু, যিনি পরিবর্তিত মালায়ালাম সিনেমার সমসাময়িক ভবিষ্যত নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন, এমন কিছু নয় যা চলচ্চিত্র বিশ্ব দ্রুত মেনে নিতে সক্ষম হবে। এফইএফকেএ ডিরেক্টরস ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সমবেদনা।’
যদিও আঞ্চলিক গণমাধ্যম তাঁর মৃত্যুকে সম্ভবত আত্মহত্যা বলে রিপোর্ট করেছে, তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। মাতৃভূমি সংবাদ প্রদান করছে যে কেরালা পুলিশ এই মৃত্যুর তদন্ত করছে এবং কোন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না।
নিশাদ ইউসুফ কে ছিলেন?
নিশাদ ইউসুফ মালয়ালম এবং তামিল সিনেমার একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র সম্পাদক ছিলেন। তিনি থাল্লুমালা, উন্ডা, ওয়ান, সৌদি ভেলাক্কা এবং আদিওস অ্যামিগোসের মতো উল্লেখযোগ্য ছবিতে কাজ করেছেন। গত বছর তিনি তার সবচেয়ে হাই-প্রোফাইল প্রকল্প, সুরিয়া এবং ববি দেওল অভিনীত প্যান-ইন্ডিয়া চলচ্চিত্র কাঙ্গুভাতে কাজ করেছিলেন। ছবিটি ১৪ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
এফইএফকেএ-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউসুফের হাতে আরও কিছু প্রকল্প ছিল। তিনি আসন্ন মোহনলাল এবং ম্যামোট্টি অভিনীত বাজুকা সম্পাদনা করছিলেন। তাঁর ঝুলিতে আলাপ্পুঝা জিমখানাও ছিল।
হরিপ্পাড়ের বাসিন্দা নিষাদ ২০২২ সালে থল্লুমালায় তাঁর কাজের জন্য ‘সেরা সম্পাদকের’ রাজ্য পুরষ্কারে ভূষিত হন।