১৯৫৭-র পর ১৯৬১, ফের একবার বড় পর্দায় ফিরছে ‘কাবুলিওয়ালা’। আর এবার ‘কাবুলিওয়ালা’ মিঠুন চক্রবর্তী। SVF-এর প্রযোজনায় ‘কাবুলিওয়ালা’ বানাচ্ছেন পরিচালক সুমন ঘোষ। ছবির শ্যুটিং প্রায় শেষ। এবার সেবিষয়েই কথা বলতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন পরিচালক সুমন ঘোষ।
হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকরে পরিচালক সুমন ঘোষ বলেন, ‘আমি ২০১২ সালে মিঠুনদাকে নিয়ে নোবেল চোর ছবিটি বানিয়েছিলাম। আর এবার কাবুলিওয়ালা। এই গল্পটি রূপালি পর্দায় বলা হয়েছিল, ১৯৫০-এর দশকে বাংলার প্রেক্ষাপটে। আমার মনে হয়েছিল এটা আবারও একবার তুলে ধরা উচিত। আমার মিঠুন দা-র সঙ্গে কথা হয়েছিল। উনি এখন খুব কম সিনেমা করেন, এমনকি বাংলাতেও। আমি ওঁর জন্য পাঁচ বছর অপেক্ষা করেছি। আমি প্রথমে আধার এবং তারপর দ্য স্ক্যাভেঞ্জার অফ ড্রিমস-এ কাজ করছিলাম’।
আরও পড়ুন-‘ওই তো কুচুটে পিসি এসে গেছে’, শেষবেলায় আবেগঘন কাঞ্চনের ‘চর্চিত বান্ধবী’ শ্রীময়ী

মিঠুন চক্রবর্তী- কাবুলিওয়ালা-সুমন ঘোষ
সুমন ঘোষ বলেন, ‘মিঠুনদা-র সঙ্গে কাজ করা একটা আলাদা উচ্চতা। বেশিরভাগ মানুষই জানেন যে তিনি ডিস্কো ড্যান্সারের পর থেকে সুপারস্টার হয়ে ওঠেন। আবার উনি সমান্তরালভাবে এমন চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন যা তাঁকে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দিয়েছে। তিনি একজন দৃঢ় অভিনেতা। আমি চিত্রনাট্য লিখেছিলাম ওঁর কথা মাথায় রেখে। আমরা সবেমাত্র শুটিং শেষ করেছি এবং উনি (মিঠুন চক্রবর্তী) আমার মৌলিক চিন্তাধারায় (চলচ্চিত্রের) অনেক অবদান রেখেছেন। আমি প্রায়ই বলি ওঁর সঙ্গে আমার স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে। আমরা যেভাবে আমাদের চিন্তাভাবনা বিনিময় করি। এটা একটা চমৎকার অভিজ্ঞতা ছিল। ছবিটি বড়দিনে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং আমি আশা করি মানুষের ছবিটা ভালো লাগবে।’
কীভাবে মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্পর্কে সম্পর্কের সূত্রপাত সে প্রসঙ্গে সুমন ঘোষ বলেম, ‘আমি যখন ২০১২ সালে ওর সঙ্গে কাজ করি, তখন ওঁকে (মিঠুন চক্রবর্তী) বেশ ভয় পেতাম। মিঠুন চক্রবর্তী ও অমিতাভ বচ্চন সেই সময়ে বলিউডে রাজত্ব করেছেন। আমি যেভাবে ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ করি সেটা বিস্ময়কর ছিল। আর এইবার (কাবুলিওয়ালার জন্য) আমাদের এখন কাজের বাইরেও একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। এই ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে ছবিরও অনেক উপকার হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ‘কাবুলিওয়ালা’ ছবিতে মিনির ভূমিকায় দেখা যাবে শিশুশিল্পী অনুমেঘা কাহালিকে। আর 'মিনি'র বাবা-মায়ের ভূমিকায় দেখা যাবে আবির চট্টোপাধ্যায় ও সোহিনী সরকারকে।