প্রবল নিম্নচাপ ও ভারী বৃষ্টি। ঘন শ্রাবণধারা নামার পর, কলকাতা যেন হাঁটু জলে ডুবে বোবা হয়ে যায়। চিৎপুর, বড়বাজার, বিধান সরণী, দক্ষিণ থেকে উত্তর সর্বত্র শ্রাবণের বিষাদ ছায়া। একই ছায়া ঘনিয়ে আসে শান্তিনিকেতনের উপরে। কিন্তু মাটির কাছাকাছি দৃশ্যটা অন্যরকম। একদিকে রাঙা ভূখণ্ড ছুটির সুখে আনন্দমুখর, অন্যদিকে পেট্রোল পোড়া শহর পা মচকে বিষন্ন। শহরের তুলনায় যেন উদ্ভিদময় বঙ্গভূমি বর্ষায় অনেক বেশি পেলব। বিশেষত তা যদি শান্তিনিকেতন হয়। বর্ষার শান্তিনিকেতনের এই রূপ-কথাই শহরের জল জমা বুকে এবার শোনাতে চলেছেন পাঠভবনের প্রাক্তনীরা।
আরও পড়ুন - যুদ্ধাঙ্গন ভ্রমণ! পর্যটকদের জন্য সিকিমে নয়া সাজে চো লা, যেতে হলে কী কী লাগবে?
আম্রকুঞ্জ, শালবীথি, বকুলবীথি, মাধবীবিতানসহ সারা শান্তিনিকেতন বর্ষায় মুখর রবীন্দ্রনাথের সুরে। শান্তিনিকেতনের সেই আদি অকৃত্রিম রূপ কবিতায়, গানে ফুটিয়ে তুলবেন পাঠভবনের প্রাক্তনী তথা গায়ক প্রিয়ম মুখোপাধ্যায়, গায়িকা ঋতপা ভট্টাচার্য ও রঞ্জিনী মুখোপাধ্যায়। শান্তিনিকেতনকে প্রকৃতি বড় বেশি ছুঁয়ে যায়। রবীন্দ্রনাথ নানা সময় নানা লেখায়, চিঠিতে জানিয়েছেন এই কথা। বর্ষার শান্তিনিকেতনে তাই চলে নানা কর্মকাণ্ড। বর্ষামঙ্গল, বৃক্ষরোপণের সেইসব স্মৃতিকথা নিয়ে যোগসূত্র রচনা করবেন মনেপ্রাণে আরেক শান্তিনিকেতনী চৈতালি দাশগুপ্ত।
আরও পড়ুন - আসা হুইলচেয়ারে, ফেরা হেঁটে! বাংলাদেশি রোগীকে নিজের পায়ে ‘দাঁড়’ করাল কলকাতা
রবিবার ২৭ জুলাই সন্ধে ৬ টায় শিশির মঞ্চে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে চলেছে কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় মেমোরিয়াল ট্রাস্টের উদ্যোগে। প্রিয়মের কথায়, ‘ঠিক অনুষ্ঠান নয়। শান্তিনিকেতনের বর্ষার রূপের প্রতি যাঁরা আজও নেশাতুর, তাঁদের সবার মিলনের জন্য এই আয়োজন। শহরের বুকে শান্তিনিকেতনের রূপকে ধরাছোঁয়ার চেষ্টা চলবে অনুষ্ঠান জুড়ে; কবিতা, গান ও স্মৃতির পথ বেয়ে। বর্ষায় মুক্তির আনন্দে ভিজতে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এই— বর্ষা।। শান্তিনিকেতন!’