বাংলার সাহিত্য সম্ভার এতই বিপুলা আর এত তার বৈচিত্র্য যে এক জীবনে সব পড়ে, তার রূপ-রস-গন্ধ আস্বাদন একদমই করা যায় না। কিন্তু যতটা করা যায় তাই বা মন্দ কী? তবে বর্তমান ব্যস্ত জীবনে আমাদের অনেকেরই আর আলাদা করে বই পড়া হয় না। তাঁদের কথা ভেবেই আকাশ আটে শুরু হয়েছে সাহিত্যের সেরা সময়। সেখানেই বর্তমানে বিমল মিত্রের ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’ গল্পটি দেখানো হচ্ছে। এখানেই লক্ষ্মীর চরিত্রে অভিনয় করছেন অর্কজা আচার্য। তাঁরই মুখোমুখি হয়েছিল HT বাংলা। বিশেষ সাক্ষাৎকারে কী জানালেন তিনি?
কেমন আছেন?
অর্কজা: ভীষণ ভালো। যদিও এখন একটু হেকটিক শিডিউল যাচ্ছে।
কড়ি দিয়ে কিনলাম ছবিতে লক্ষ্মীর চরিত্রে অপর্ণা সেনকে দেখা গিয়েছিল। এবার সেই জায়গায় আপনি। ভয় লাগেনি?
অর্কজা: আমি আসলে অভিভূত এই চরিত্রটি করার সুযোগ পেয়ে। তবে সঙ্গে চাপও লাগছে। কিন্তু নিজের মতো করে করার চেষ্টা করছি।
কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছেন?
অর্কজা: আসলে শুট শুরু হওয়ার সপ্তাহখানেক আগেই আমি জানতে পারি যে চরিত্রটা আমি করছি। ফলে নতুন করে আর উপন্যাসটা পড়া হয়নি। কিন্তু আগে পড়েছিলাম। কাজ শুরুর আগে বহুবার সিনেমাটা দেখেছি। আর বাকিটা নিজের মতো করে, আমাদের পরিচালক সজল বসুর নির্দেশ অনুযায়ী করছি।
কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করছেন, অভিজ্ঞতা কেমন?
অর্কজা: এক মাস শুটিং হয়ে গেল প্রায়। আমার বাবার চরিত্রে কৌশিক দা, দীপুর মায়ের চরিত্রে দোলা দি আছেন। সকলেই ভীষণ ভালো। অনেক কিছু শিখছি ওঁদের থেকে। তবে দীপু মানে অর্ণব বিশ্বাস এবং সতী মানে সুচরিতা ঘোষের সঙ্গে অনেকটা সময় কাটে আমার। ওরাও খুব ভালো। আমি ভীষণ লাকি যে এমন সহ অভিনেতাদের পেয়েছি।

কড়ি দিয়ে কিনলামের দৃশ্য
বেশ কিছুদিন তো হল গল্পটির সম্প্রচার শুরু হয়েছে। সাড়া কেমন পাচ্ছেন?
অর্কজা: বেশ ভালো। দর্শকরা ভালো বলছেন। পজিটিভ রিভিউ পাচ্ছি। বাড়িতে বাবা মাও দেখে। যা যা ভুল হচ্ছে সেগুলো আগামীতে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করছি।
লক্ষ্মী ছাড়া আর কোন উপন্যাসিক চরিত্রে অভিনয় করতে চান?
অর্কজা: ও বাবা! সে তো অনেক আছে। ব্যোমকেশ তো এখন প্রচুর হচ্ছে। কখনও সুযোগ পেলে সত্যবতীর চরিত্র করতে চাই। আমি একবার নাটকে সত্যবতী হয়েছিলাম, সেটা এবার পর্দায় সুযোগ পেলে ভালো লাগবে। এছাড়া নষ্টনীড় এর চারুলতা, সহ আরও অনেক আছে। এখন মনে পড়ছে না আর। (হাসি)
সিরিয়াল তো চুটিয়ে করছেন, সময়ের দাবি মেনে ওয়েব সিরিজ করার ইচ্ছে নেই?
অর্কজা: নেই আবার? সুযোগও এসেছিল। কিন্তু তখন আমি শ্রেয়সী করছিলাম, তাই হয়নি। আসলে ওয়েব সিরিজে চরিত্রগুলো যেন আরও রিয়েল হয়ে ওঠে। অভিনয়ের সুযোগ আরও অনেক বেশি থাকে। আর এখন বাংলায় তো একাধিক দারুন দারুন সিরিজ হচ্ছে। গোরা, ইন্দু, ইন্দুবালা ভাতের হোটেল দেখলাম, কী ভালো করেছে সব কটা।