পরীমনির জীবনে শরিফুল রাজ এখন অতীত। 'পরী' ও ‘রাজ’-এর পথ আলাদা হয়েছে বহুদিন হল। বিয়ের পর থেকে সুখেই কাটছিল দিন। তবে সন্তান জন্মের পর থেকেই দুজনের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। বহু ঝগড়া ও অশান্তির পর বছর খানেক হল তাঁরা বর্তমানে আলাদাই থাকেন। এমনকি একসময় পরীমনি স্বামী (তৎকালীন) প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছিলেন, ‘ও আমার কাছে মৃত’। তবে ফের পরীমনির বাড়িতে হাজির তাঁর প্রাক্তন স্বামী শরিফুল রাজ। শুধু তাই নয়, প্রাক্তনের জন্য নাকি ভালোমন্দ রান্নাও করলেন অভিনেত্রী।
তবে কি প্রাক্তন দম্পতির মধ্যে ফের সমীরকরণ বদলাচ্ছে?
এবিষয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন পরীমনি। ‘রাজ অন্য একটা কারণে বাসায় (বাড়িতে) এসেছিল। বিচ্ছেদ হওয়ার পর আমার সঙ্গে ওর আর দেখা হয়নি। আমি দেখা করতেও চাইনি। বাসায় (বাড়িতে) আসা মানা ছিলওর। কিন্তু হঠাৎই কিছুদিন আগে রাজ আমার বাসায় (বাড়িতে) এসেছিল। ওর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র আমার এখানে ছিল। সেগুলো আমি যত্ন করে রেখেও দিয়েছিলাম। ও এসে সেগুলো নিয়েও গিয়েছে। সেদিন ও অনেকক্ষণ ছিল। এলে তো আর বের করে দিতে পারি না।’
ছেলের সঙ্গে কি রাজের দেখা হয়েছে? এপ্রশ্নে পরীমনি জানান, ‘হ্যাঁ দেখা তো হবে। পুণ্য তো ওরও সন্তান। সেদিন আমি রান্না করেছিলাম। সবাই মিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেছি। এই আরকি! তবে কয়েকদিন তো দেখলাম, রাজ এখন পুণ্যকে কোলে নিতে চাইলে ও ওকে বাবা হিসাবে চিনতে পারে না এখন। অথচ আগে রাজ ছাড়া পুণ্য কিছুই বুঝত না। এটা রাজের জন্য নির্মম।’
পরীমনি অবশ্য বলেন, ‘রাজের কাছে বিষয়টি আলাদা। ও সন্তানকে সময় দেয়নি, ভরণপোষণের দায়িত্বও নেয়নি। শখ করেও কোনওদিন বাচ্চাকে খেলনা কিনে দেয়নি। ঠিকমতো খবরও রাখেনি। আমার মনে হয় সন্তানের মর্ম ও বোঝে না।’
তাহলে কি দুজনের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলছে, উষ্ণতা ফিরছে?একথায় 'পরী' বলেন, ‘উষ্ণের কী আছে! সম্পর্ক উষ্ণ তো হতেই পারত, তবে সেটা রাজই মেইনটেইন করেনি। এই শহরে অনেকেরই তো বিচ্ছেদ হয়েছে। তারপরেও সন্তানকে ঘিরে কিবাবা-মায়ের দেখা-সাক্ষাৎ হয় না? কথা হয় না? সন্তানকে ঘিরে সুন্দর সময়ও কাটে না বাবা-মায়ের?’
তবে সবশেষে পরীমনি বলেন, 'রাজের সাফল্যেও আমার যায় আসে না, ব্যর্থতাতেও নয়। ও এখন আমার অতীত। ও আমার কাছে ঘৃণার পাত্র।’ তবে পরীমনির কথায়, 'তবে আমি চাইব ও যেখানেই থাকুক, ভালো কাজ করুক, ভালো থাকুক। কারণ, সন্তানের সুন্দর জীবনের জন্য বাবাকেও ভালো থাকতে হয়। ওর সম্পর্কে তো এখন অনেককিছুই শুনি। এমন কোনও কাজ যেন বাবা হিসেবে রাজ না করে, যাতে সন্তানের চোখে বাবা হিসাবে ছোট হয়ে যায়। কারণ, সন্তানের বাবা হিসেবে রাজকে তো আর অস্বীকার করতে পারব না।’