ভালোবেসে কাঞ্চন মল্লিকের হাত ধরেছিলেন। বিয়ের বছর কয়েক যেতে না যেতেই জন্ম দেন পুত্র সন্তানের। কিন্তু সংসার সুখের হয়নি পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কাঞ্চনের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্য কলহ প্রকাশ্যে আসে ২০২১ সালে। তখনই স্বামীর নামে পরকীয়ার অভিযোগ এনেছিলেন পিঙ্কি। জানিয়েছিলেন শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন কাঞ্চন।
তিন বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই কাঞ্চন-পিঙ্কির ডিভোর্স মিটেছে, এবং এখন শ্রীময়ী কাঞ্চনের বিবাহিতা স্ত্রী। গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি সইসাবুদ করে বিয়ে করেন দুজনে। ঘটনার ঘনঘটায় ভেঙে পড়েননি পিঙ্কি। বরং জীবনটা নিজের মতো করে গুছিয়ে নিয়েছেন। বুধবার, ২১শে ফেব্রুয়ারি ছিল সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন। এইবার নিজের জন্মদিন পালন না করার ইচ্ছে ছিল বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। মন-মেজাজ ভালো নেই। তারউপর শরীরটাও গত মাস দেড়েক ভালো যাচ্ছে না বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর। চোখের সামনে নাতনি সংসার ভাঙার যন্ত্রণা সইতে হয়েছে তাঁকে।
সম্পর্কে পিঙ্কির ঠাকুমা মাধবীলতা দেবীর ছোট বোন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় অর্থাৎ পিঙ্কির মাসি ঠাম্মি তিনি। কাঞ্চনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার পর থেকেই সাবিত্রীর সঙ্গে তাঁর ফ্ল্যাটেই থাকেন পিঙ্কি ও তাঁর ছেলে ওশ। জন্মদিনে কোনও আয়োজন চাননি সাবিত্রী। তবে পিঙ্কি ও সাবিত্রীর কাছের মানুষরা ঘরোয়া আয়োজনে এই বিশেষ দিনটা একটু স্পেশ্যাল করে তুললেন।

জন্মদিনে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, সঙ্গী পরিচালক প্রিয়দর্শী ও প্রযোজক সম্পূর্ণা এবং পিঙ্কি
বার্থ ডে গার্ল, সাবিত্রীরদেখা মিলল রানি রঙের শাড়িতে। অসুস্থ হলেও জন্মদিনে কাছের মানুষদের সামনে পেয়ে আপ্লুত ‘সাবুদি’। কালো শাড়িতে দেখা মিলল পিঙ্কির। ঠাকুমার ছায়াসঙ্গী তিনি। পৌঁছেছিলেন পরিচালক প্রিয়দর্শী বন্দ্যোপাধ্য়ায়, প্রযোজক সম্পূর্ণা রায়-সহ টলিউডের কাছের মানুষেরা। দেখা মিলল মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসেরও।
সাবিত্রীর বাড়ির ছাদেই চলল আড্ডা। পায়েস-পকোড়ায় জমে উঠেছিল বৃহস্পতিবারের সন্ধ্যে। পিঙ্কি-কাঞ্চনের বিয়ে ভাঙা প্রসঙ্গে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেছেন, ‘কাঞ্চন এবং পিঙ্কির ডিভোর্স হয়েছে। বিয়েটা আর টেকেনি ওদের। ঠিকই আছে।। পিঙ্কি এখন আমার কাছেই থাকে। বুঝতেই পারছেন তাঁর মন-মেজাজ ভাল নেই।’ অন্যদিকে শ্রীময়ীর সঙ্গে প্রাক্তন নাত জামাইয়ের তৃতীয় বিয়ে সম্পর্কে টিভি নাইন বাংলাকে তিনি বলেন, 'আমার এই বিয়েতে মতও নেই, অমতও নেই।’
প্রাক্তন স্বামীর বিয়ে প্রসঙ্গে পিঙ্কি ওই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘দু’জনকে খুব সাধুবাদ জানাই যে, ফাইনালি তাঁরা সাহস জোগাড় করে বিয়েটা করেছেন’। মা'কে আগলে রেখেছে ১০ বছরের ওশ। পিঙ্কি জানালেন, ‘ওশ বলল যেটা বাস্তব সেটা বাস্তব। আমরা নতুন করে জীবন শুরু করব মা’। জ্ঞানত বাবা-মা'কে একসঙ্গে সংসার করতে দেখেনি সে। মা-ই যেন তাঁর কাস্টডি পায়, একমাত্র ইচ্ছে ছিল ছেলের। তবে কাঞ্চন ছেলের কাস্টডি দাবি করেননি জানান পিঙ্কি।
কাঞ্চন মল্লিক মোট ৫৬ লক্ষ টাকা খোরপোষ দিয়েছেন পিঙ্কিকে। ওই টাকা ছেলের ভবিষ্যত গড়তে কাজে লাগাবেন বলেন অভিনেত্রী। ক্যালকাটা ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ক্লাস ফাইভের ছাত্র ওশ। সামনেই ফাইনাল পরীক্ষা, পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত সে।