'সত্যি কি আমি এই প্রশংসার যোগ্য'? কেন এই প্রশ্ন তাড়া করে বেড়াচ্ছে আলিয়াকে

খুব অল্প বয়সেই স্টারডমের শিখরে পৌঁছেছেন আলিয়া ভাট। বলিউডের প্রথম সারির নায়িকা মহেশ ভাট-সোনি রাজদান কন্যা। ২০১২ সালে স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ারের সঙ্গে বলিউড সফর শুরু করেছিলেন আলিয়া। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয় এই বলি সুন্দরীকে। দর্শকদের পাশাপাশি সমালোচকদেরও পছন্দের অভিনেত্রী আলিয়া। তবে আত্মসমালোচনায় এক্সপার্ট এই নায়িকা খুশি নন গল্লি বয়ের জন্য নিজের প্রশংসা শুনে, পাশাপাশি কলঙ্কের ব্যর্থতাও তাঁকে নাড়িয়ে দিয়েছে।আলিয়া জানিয়েছেন, 'যে কেউ যখন কোনও যাত্রা শুরু করে তার সেই যাত্রাটা নিয়ে একটা চাহিদা থাকে। আজ অবধি সৌভাগ্যবশত আমাকে খুব বেশি ব্যর্থতা সম্মুখীন হতে হয়নি। হয়ত এই দীর্ঘ সময়ে মাত্র দুটো, আর দুটো ব্যর্থতা থেকেই আমি যা শিখেছি সেটাও একে অপরের থেকে একদম আলাদা। তবে যে ব্যাপারটা আমি অবশ্যই শিখেছি তা হল মাথা নীচু করে পরিশ্রম করে যেতে হবে। তোমাকে তোমার সেরাটা উজাড় করে দিতে হবে। কখনও তুমি ঠিক হবে, কখনও তুমি ভুল করবে'।এখনও পর্যন্ত আলিয়ার কেরিয়ারে রয়েছে একাধিক হিট ছবি। অভিনেত্রীর কথায়, ব্যর্থতা তাঁর কাছে এক অমূল্য শিক্ষা।আলিয়া জানান, 'অভিনেতা এবং ব্যক্তি হিসাবে আমি বুঝঝতে পেরেছি জীবনে সমতা বজায় রাখাটা খুব জরুরি। সাফল্য বা ব্যর্থতা কোনটাই আঁকড়ে ধরে রাখলে চলবে না'।'ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দ,শেখার জায়গা। যেখানে আমি পরিচালক, সহ অভিনেতা, টেকনিশিয়ান সবার থেকে কিছু না কিছু শিখি। এটা আমার সম্পদ। সাফল্য একার পরিশ্রমে আসে না। এটা সকলের সম্মিলিত প্রয়াস'।প্রত্যেক ছবিতেই ভিন্ন ভিন্ন ধরণের চরিত্র অভিনয় করেন আলিয়া। রাজির সেহমতের সঙ্গে গল্লি বয়ের সফিনার আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সেই নিয়ে কী বললেন অভিনেত্রী? 'রাজির জন্য শ্যুটিং করাটা একটা ইমোশ্যানাল অভিজ্ঞতা। আমি একটানা রাজির শ্যুটিং করেছিলাম সেটাও একটা কারণ। সেই কারণে বোধহয় সেহমত চরিত্রটার সঙ্গে আমি বেশি একাত্ম। অন্যদিকে গল্লি বয় একদম উল্টো। আমার তথাকথিত সিরিয়াস চরিত্রের বাইরে একটা মকেন গল্লি বয়ের প্রশংসায় সন্তুষ্ট নন আলিয়া?'গল্লি বয়ও একটা সিরিয়াস ফিল্ম কিন্তু শ্যুটিংয়ে আমি খুব মজা করেছি, বিশেষত সাফিনার মধ্যে যে ছোঁয়াছে প্রাণবন্ত উচ্ছ্বাস রয়েছে। আমি নিজের কাজের ব্যাপারে ভীষণ মনোযোগী। আত্মসমালোচনা করতে আমি দুপায়ে খাঁড়া থাকি। তাই মানুষ যখন বলে সফিনার চরিত্রে আমি দুর্দান্ত। আমার খারাপ লাগে। আমি নিজেকে প্রশ্ন করি, সত্যি কি আমি এতটা পরিশ্রম করেছিলাম? , সত্যি কি আমি এই প্রশংসার যোগ্য? তবে গল্লি বয়তে আমার পারফরমেন্স দেখে আমি নিজেও খুশি হয়েছি, যেটা সাধারণত আমি হইনা'।জাদার এবং সহজ চরিত্র'।