বহু কাল আগের কথা। সালটা ১৯৯২। আমির খানের ছবিতে মুখ্য ভিলেন হতে চেয়েছিলেন অক্ষয়কুমার। দিয়েছিলেন অডিশনও। তবে অক্ষয়ের অভিনয় পছন্দ না হওয়াতে বাদ দিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। ছবির নাম? 'জো জিতা ওহি সিকন্দর' শেষপর্যন্ত অক্ষয়ের জায়গায় ওই ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন দীপক তিজোরি। 'শেখর মালহোত্রা'-র চরিত্রে দীপকের অভিনয় দারুণ প্রশংসাও কুড়িয়েছিল দর্শক এবং ছবি সমালোচকদের থেকে। 'জো জিতা ওহি সিকন্দর'-এ মুখ্যভূমিকায় দেখা গেছিল আমির খান, আয়েষা জুলেখা এবং পূজা বেদীকে।জানিয়ে রাখা ভালো সেইসময়ে কিন্তু 'সৌগন্ধ' এবং 'ডান্সার' ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছিলেন অক্ষয়। যদিও বক্স অফিসে বিরাট কিছু করে দেখতে পারেনি ওই সিনেমা দুটি। ততদিনে 'কেয়ামত সে কেয়ামত তক',''দিল','দিল হ্যায় কে মানতা নেহি' প্রভৃতি ছবি করে বলিপাড়ার অন্যতম জনপ্রিয় নায়কের তকমা নিজের নামের পাশে সাঁটিয়ে ফেলেছেন আমির। যদিও 'জো জিতা ওহি সিকন্দর' মুক্তি পাওয়ার পরের মাসেই মুক্তি পায় অক্ষয়ের 'খিলাড়ি'। ব্যাস! রাতারাতি এই ছবির দৌলতেই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান অক্ষয়।গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে 'খিলাড়ি' নিজেই জানিয়েছিলেন যে ' 'জো জিতা ওহি সিকন্দর' এর জন্য তাঁর দেওয়া অডিশন এককথায় জঘন্য ছিল। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাদ পড়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে তাঁর মনে কোনও খেদও নেই। সেই সাক্ষাৎকারে অক্ষয় আরও জানিয়েছিলেন কীভাবে একটি মডেলিংয়ের শুট বাতিল হয়ে যাওয়াতে একইদিনে পরপর তিনটি ছবিতে নায়ক হিসেবে তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন। অক্ষয়ের কথায়, 'ওই মডেলিংয়ের শুটে সময়ের গন্ডগোলের ফলে পৌঁছতে পারিনি। ফলে বলাই বাউলি আমাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মনখারাপ করে ফিরছি। এমন সময় এক মেক আপ আর্টিস্টের সঙ্গে দেখা যিনি প্রমাদ চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থায় কাজ করতেন। আমাকে দেখে তাঁর মনে ধরাতে নিয়ে গেছিলেন সংস্থার অফিসে। তারপর কী থেকে কী হয় গেল তিনটি হিন্দি ছবির প্রস্তাব শুধু পেলামই না, সঙ্গে সই সাবুদ করেও একেবারে পাকা কাজ সেরে ফেলেছিলাম!' বক্তব্য শেষে অক্ষয়ের সংযোজন, 'তাই যা হয় ভালোর জন্যেই হয়। যা হয়নি তা নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নেই।'