নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নতুনভাবে চেনালেন সঙ্গীতশিল্পী মেখলা দাশগুপ্ত। গত ১৮ অগষ্ট মুক্তি পেয়েছে বাংলার প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা নির্মিত গান, যার নাম ‘ভারতবর্ষ’।
কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টির সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মিশ্রনে তৈরি করা হয়েছে এই গানটি। এই গানের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলাম এবং ভারতের ইতিহাসকে নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছেন গায়িকা।
আরও পড়ুন: ছেলে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়লেন পরীমণি! অসুস্থ অভিনেত্রীও, কী হল হঠাৎ?
আরও পড়ুন: বর্ষা শেষে হতে চলেছে ভূতের আগমন, হইচই- এর পর্দায় আসছে ‘ভূততেরিকি’
এই প্রসঙ্গে গায়িকা মেখলা দাশগুপ্ত বলেন, ‘এই গানে কবির সৃষ্টির সঙ্গে প্রযুক্তির মিশ্রণ ঘটানো হয়েছে, যার ফলে এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি নতুন ভাবে ধরা দেয়। এই গানটি তৈরি করার জন্য কবির বেশ কিছু ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।’
গায়িকা আরও বলেন, ‘ছবিগুলি এমনভাবে ব্যবহার করা হয়েছে যাতে দর্শকরা ভারতের ঐতিহ্যের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে পারেন। এই একটা গানের মধ্যেই কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টিকে সীমাবদ্ধ করা যায় না, তবু গায়ক তথা কবিকে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে মাত্র।’
মেখলা বলেন, আমার উদ্দেশ্য হলো আমাদের ভারতবর্ষের পুরনো ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের সঙ্গে মানুষ আবার পরিচিত হোক। এই গানটি তৈরি করার একমাত্র উদ্দেশ্য হল অতীতকে ভবিষ্যতের সঙ্গে যুক্ত করা। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যারা অনেকেই এই ঐতিহ্যের কথা জানে না, তাদের জন্য এই গান একটি সেতুর মতো কাজ করবে।
এই গানের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে বিবেকানন্দ থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও। দেখানো হয়েছে গৌতম বুদ্ধ থেকে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবকেও। আসুমদ্রহিমাচল থেকে কেদারনাথের সৌন্দর্য সবকিছু ফুটে উঠেছে এই গানের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: কবিতার পর এবার গান, ‘বকুলতলায় ভিড় জমেছে’ গানের সুরে লিপ মেলালেন ‘পরিণীতা’- র বিদ্যা
আরও পড়ুন: 'আমায় লুকিয়ে বিয়ে...', রাজেশ খান্নাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অনিতা আডবানির
প্রসঙ্গত, কাজী নজরুল ইসলাম শুধুমাত্র একজন কবি ছিলেন তা নয়, তিনি একজন স্বাধীনতার সংগ্রামীও ছিলেন। নিজের কলমের হাত ধরে বারবার তিনি গর্জে উঠেছিলেন ইংরেজদের বিরুদ্ধে, যার ফলে বহুবার বহু অত্যাচারী সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে।
কাজী নজরুল ইসলামের লেখা পরিচয় করায় ভারতের ঐতিহ্যের সঙ্গে, যার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আয়ুর্বেদ, দর্শন, গান, অঙ্ক, জ্যোতিষবিদ্যা। ভারতের স্বাধীনতার ৭৯ বছর অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরেও সেই লেখা আজও মানুষকে একই ভাবে উদ্বুদ্ধ করে।