বাংলার ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা বরাবরই খেলার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মে বাড়িয়ে দিয়েছেন ভরসার হাত। পাশাপাশি সঙ্গীতের প্রতি তাঁর অপার শ্রদ্ধা রয়েছে। বিশেষ করে কিশোর কুমারের ‘একলব্য শিষ্য’ বলাই যায় তাঁকে। বহুদিন ধরেই কিশোর কুমারের ‘ভারতরত্ন’ সম্মানের দাবিতে তিনি সরব। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে এই দাবিতে পথে নেমেছিলেন বাংলার এই প্রাক্তন অধিনায়ক। সালকিয়া থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছিল এক র্যালির। তাতে যোগ দিয়েছিলেন পশিমবঙ্গ-সহ সারাদেশের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বরা। স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন সাধুবাদ জানিয়েছিলেন সেই উদ্যোগকে।

২০১৭ সাল থেকে কিশোর কুমারের ‘ভারতরত্ন’ সম্মানের দাবিতে রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা এবং ‘সালকিয়া কিশোর কুমার মেমোরিয়াল কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’-এর পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে একাধিক আবেদন, র্যালি ইত্যাদির আয়োজন করা হয়েছে। এই সংস্থার সভাপতি পদে রয়েছেন লক্ষ্মী। তিনি বারবার প্রশ্ন তুলেছেন, কিশোর কুমারের মতো ক্ষণজন্মা প্রতিভা, কেবল ভারতেই নয়, সঙ্গীতে যাঁর বিশ্বজোড়া খ্যাতি, তিনি কেন ‘ভারতরত্ন’ সম্মান থেকে বঞ্চিত ।
লক্ষ্মীরতন শুক্লা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন
তিনি সাতজন নতুন সঙ্গীত প্রতিভাকে নিয়ে আসতে চলেছেন মানুষের সামনে। মিউজিক ভিডিয়োটি তৈরিও হয়ে গিয়েছে। দু'একদিনের মধ্যেই তা ইউটিউবে লঞ্চ করা হবে। লক্ষ্মী জানিয়েছেন, কিশোর কুমারকে এখনও ভারতরত্ন দেওয়া হয়নি। তাই নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকছেন তাঁরা।

সংস্থার সচিব সুব্রত সিনহা জানান :
কিশোর কুমারের জন্মদিন উপলক্ষ্যে গত বছর বিশেষভাবে সক্ষম শিশু এবং প্রেসিডেন্সি জেলের বন্দীদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। খাওয়ানো হয়েছিল। এবার মহামারীর কারণে একটু অন্যভাবে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠান সূচি। ৪ অগস্ট সকালে কিশোর কুমারের মূর্তিতে মাল্যদান ও কেক কাটার মাধ্যামে শুরু হবে অনুষ্ঠান। এরপর দুঃস্থ মানুষ এবং দুঃস্থ শিল্পীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে চাল, ডাল, তেল, আটা, বিস্কুট, ডিম-সহ শুকনো খাবার, স্যানিটাইজার, সাবান এবং গ্লাভস। দেওয়া হবে কিশোর কুমারের নামাঙ্কিত মাস্ক ও ব্যাগ। সুরক্ষাবিধি মেনে জমায়েত এড়াতে অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে শুধুমাত্র মন্ত্রী, অতিথি ও ক্লাব সদস্যরা থাকবেন। সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে অনুষ্ঠান হবে। ভবিষ্যতেও এভাবে প্রতিভাবান শিল্পীদের তুলে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।