কদিন ধরেই সমাজমাধ্যমজুড়ে একটা বড় বিতর্ক। ইনফ্লুয়েন্সার সোহিনী সি সেকশনের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিলেও, গর্ভেই মারা যায় সন্তান। পরিবার ও ডাক্তার একে-অপরকে দোষ দিতে ব্যস্ত। এরই মাঝে নেটপাড়ার মত, সোহিনী যেভাবে গর্ভাবস্থায় একের পর এক ভিডিয়ো বানিয়ে গিয়েছেন, তা নাকি উচিত হয়নি। ‘নজর লেগেছে’, ‘আদিখ্যাতা’র মতো শব্দ ব্যবহার করেও আঘাত হানা হচ্ছে সদ্যোজাতকে হারানো এই মা-কে। কেউ কেউ তো আবার দায়ি করছেন, সোহিনীর বেবি বাম্পে জগন্নাথ দেবের মুখ আঁকা-কে! তাতেই নাকি ‘পাপ’ হয়েছে!
এদিকে এই বিতর্কের মাঝেই নতুন করে আলোচনায় এক মেকআপ আর্টিস্ট। নাম প্রিয়াঙ্কা দাস। এই প্রিয়াঙ্কাকে এক গর্ভবতী নারীর বেবিবাম্পে আঁকতে দেখা গেল মা-দুর্গার মুখ। যদিও গর্ভবতী মহিলাটির পরিচয় সামনে আনা হয়নি, তবে এবারেও খচে লাল নেটপাড়া। তবে সেসবে পাত্তা দিতে রাজি নন প্রিয়াঙ্কা। তিনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন এই নীতি পুলিশদের দিকে।
একজন প্রিয়াঙ্কার পোস্টে লেখেন, ‘আপনাদের একটুও ভয় লাগে না? কেন এসব করেন? ঈশ্বরকে মনে রাখুন, ভক্তি রাখুন, ভালোবাসা রাখুন তাতেই দেখবেন মা-সন্তান সুস্থ থাকবে। ভগবানকে মনে থেকে পেটে নামিয়ে আনবেন না। এগুলো উচিত না। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করুন, এমনিতেই উনি ভালো রাখবেন, তার জন্য এসব করার দরকার পরে না।’
তবে এসব ট্রোলে প্রিয়াঙ্কার জবাব, ‘মাতৃ গর্ভের থেকে পবিত্র স্থান আর কিছু হতে পারে না! তাই সেই স্থানে মায়ের প্রতিচ্ছবি কোনো ভুল বার্তা হতেই পারে না!’
এখানেই থেমে না থেকে, প্রিয়াঙ্কা তাঁর পোস্টের ক্যাপশনে সোহিনীর প্রসঙ্গ টেনে লিখেছেন, ‘এই ২০২৫-এ এসে দাঁড়িয়ে মানুষ বলছে, নজর এর জন্য একটা মা তাঁর সন্তানকে কোলে পাওয়ার আগেই সে মারা যাচ্ছে, গর্ভাবস্থায় পেটে জগন্নাথ এর ছবি এঁকেছিল বলে, ঠাকুর পাপ দিয়েছে,, কি সুন্দর ব্যাখ্যা..!!!’
সদ্য ভাইরাল হওয়া এই মেকআপ আর্টিস্ট আরও লিখেছেন, ‘দশটা মাস কি কি সহ্য করতে হয়, এবং কত স্বপ্ন দেখে একজন মা তার আগত সন্তানকে নিয়ে। অবশ্যই হবু বাবাও, বাড়িতে পোষ্য কুকুর-বিড়াল মারা গেলেও আমরা স্থানু হয়ে যাই, আর একজন মায়ের কোল ভরার আগেই, খালি হয়ে গেলে কী হয় ভাবলেও কাঁটা দেয়! কালিমা না ছিটিয়ে, মিথ্যে সহানুভূতি না দেখিয়ে, ঈশ্বরকে ডাকুন যাতে সোহিনীদি এই ফেজটা কাটিয়ে উঠতে পারে, আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে...’!