এবারের বিশ্বকাপে প্রথম অঘটন ঘটেছে রবিবার। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় আফগানিস্তান। এমনটা হবে তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের হার একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না ইংল্যান্ড সমর্থকরা। এবারের বিশ্বকাপের শুরুটাও তারা খুব একটা ভালো করেনি। গতবারের রানার্স নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হার দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে হয়। স্বাভাবিক ভাবেই বেশ চাপেই থাকে ইংরেজরা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে তারা ঘুরে দাঁড়ায়। তাতে লাভের লাভ হল কই। ফের হারের মুখ দেখতে হল বাটলারকে। এবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কার্যত লজ্জায় মুখ লুকালো ইংরেজরা।
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ওডিআই বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ের নজির গড়ল আফগানরা। এর আগে ২০১৫ সালে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম জয়ের মুখ দেখে আফগানিস্তান। তারপর আর কোনও ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। এবার গতবারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে চমকে দিলেন রশিদ খানরা। স্বাভাবিক ভাবেই ইংল্যান্ডকে হারানোর ফলে আফগান দলের আত্মবিশ্বাস যে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দীর্ঘদিন পর বিশ্বকাপে ম্যাচ জেতার নজিরও গড়েন রশিদ খানরা।
অন্যদিকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে হেরে একাধিক লজ্জার নজির গড়েছেন বাটলার, বেয়ারস্টোরা। এখন যে ফুল মেম্বার দলগুলি রয়েছে। তার মধ্যে থেকে যে দলগুলো সব ফুল মেম্বার টিমের বিরুদ্ধে হেরেছে, সেটার মধ্যে একমাত্র বড় দল ইংল্যান্ড। ফুল মেম্বার দলগুলির বিরুদ্ধে হারা দলগুলির মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান, জিম্বাবোয়ে, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ইংল্যান্ড। এই তালিকায় একমাত্র বড় দল ইংল্যান্ড। যদিও এবারের বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং জিম্বাবোয়ে। বাকিদের তুলনায় ইংল্যান্ড দল অনেকটাই এগিয়ে থাকে। সেই জন্য এই তালিকায় হেভিওয়েট ইংল্যান্ড। গত বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নও হয়েছে তারা। এমন এক লজ্জার রেকর্ডে অবাক প্রত্যেকে।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান ২৮৪ রান তোলে। গুরবাজ ৫৭ বলে ৮০ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ৮টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়াও ইকরাম ৫৮ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড দল। মাত্র ২১৫ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তিন উইকেট নেন মুজিব এবং রশিদ। ৬৯ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে অঘটন ঘটালো আফগানরা।