আইপিএল ২০২৫ এখন পুরোদমে চলছে এবং এই মুহূর্তে গ্রুপ লিগের ম্য়াচের শেষ ল্য়াপ অনুষ্ঠিত হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এবারে মাঠে যেমন দলগুলোর লড়াই দেখা গিয়েছে তেমনই লড়াই সম্প্রচারকারীরা ধারাভাষ্য প্যানেলেও দেখা গিয়েছে। এবারে সম্প্রচারকারীরা ধারাভাষ্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেলে কিছু নতুন মুখ যুক্ত হয়েছে। শিখর ধাওয়ান এবং অম্বাতি রায়ডু এই নতুন মুখদের মধ্যে রয়েছেন। রায়ডু শেষবার আইপিএল খেলেছেন ২০২৩ সালের ফাইনালে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে, যেখানে চেন্নাই সুপার কিংস চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। অন্যদিকে, ধাওয়ান তার শেষ আইপিএল ম্যাচ খেলেছেন গত মরশুমে।
এই দু’জন ভারতীয় দলের হয়ে সিনিয়র ও জুনিয়র স্তরে একসঙ্গে খেলেছেন। বিশেষ করে, তারা ২০০৪ সালের আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ভারতের স্কোয়াডে ছিলেন, যেখানে রায়ডু ছিলেন অধিনায়ক। সম্প্রতি স্টার স্পোর্টসের একটি অনুষ্ঠানে আকাশ চোপড়া ও রায়ডুর সঙ্গে আলাপচারিতায় শিখর ধাওয়ান তাঁর সতীর্থ রায়ডুকে নিয়ে একটি মজার গল্প শেয়ার করেন, যা শুনে উপস্থিত সকলেই হেসে কুপোকাত হয়ে যান।
আরও পড়ুন … রিঙ্কু-বেঙ্কটেশের কি চোট? GT-র বিরুদ্ধে নামার আগে চাপে KKR! কী হবে দলের সম্ভাব্য একাদশ?
ভারত ওই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায়, আর রায়ডু সেই ম্যাচে খেলেননি। আগের এক ম্যাচে আইসিসির আচরণবিধি ভঙ্গ করার কারণে তাকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল সময় অপচয় এবং খারাপ ব্যবহার।
শিখর ধাওয়ানের মজার খোঁচা রায়ডুকে
স্টার স্পোর্টসে ধাওয়ান বলেন, ‘অম্বাতি রায়ডুর অনেক নামডাক ছিল অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে। ও ছিল আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলের অধিনায়ক, আর সেমিফাইনালের আগে ব্যান খেয়ে বসে। আর সেই ম্যাচটাই আমরা হেরে গেলাম।’
দেখুন সেই ভিডিয়ো-
আরও পড়ুন … ১৭৭ রানের লক্ষ্য আমাদের জন্য খুব কম ছিল: CSK-কে হারিয়ে রোহিত-সূর্যের প্রশংসায় বুঁদ MI ক্যাপ্টেন হার্দিক
ধাওয়ানের এই কথা শুনে আকাশ চোপড়া হেসে গড়িয়ে পড়েন এবং রায়ডুও শুরুতে বিরক্ত হলেও পরে হাসিতে যোগ দেন। ধাওয়ানের এই রসিকতা অনেকেই ২০০৭ সালের রায়ডুর বিতর্কিত আইসিএল-এ খেলার ঘটনা মনে করিয়ে দেয় বলেই মনে করেন। আইসিএল (ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগ) ছিল একটি বিদ্রোহী টুর্নামেন্ট, যা বিসিসিআই অনুমোদিত ছিল না। সেই সময় রায়ডু ২০০৭ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত হায়দরাবাদ হিরোজ দলের হয়ে খেলেন এবং বিসিসিআই তাকে নিষিদ্ধ করে। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বিসিসিআই ৭৯ জন আইসিএল খেলোয়াড়কে পুনরায় খেলার অনুমতি দেয়, যার মধ্যে রায়ডুও ছিলেন। এরপর তিনি রঞ্জি ট্রফিতে ফেরেন।
আরও পড়ুন … দলের খেলায় খুশি নন ইস্টবেঙ্গল কোচ! কেরালার কাছে হারের দায় কার উপর চাপালেন ব্রুজো?
রায়ডু জাতীয় আলোচনায় উঠে আসেন ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার সময়। সেসময় আইসল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড মজা করে তাকে তাদের দলে খেলার আমন্ত্রণ জানায়। সেই বছর নির্বাচকরা বিজয় শঙ্করকে দলে নিলে রায়ডু কটাক্ষ করে একটি টুইটও করেন।
২০১৯ সালে তিনি সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। পরে ২০২৩ সালে আইপিএল থেকেও অবসর নেন। অবসরের পর তিনি যুক্ত হন টেক্সাস সুপার কিংস দলের সঙ্গে মেজর লিগ ক্রিকেটের প্রথম মরশুমে।