এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে হাত না মেলানো বিতর্কে কার্যত ভেসে গিয়েছে ক্রিকেটবিশ্ব। এই আবহেই শনিবার থেকে শুরু হতে চলেছে সুপার ফোরের ম্যাচ। রবিবার অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর ফের পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচে খেলতে নামছে ভারতীয় দল। তার আগে অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবকে ভারতীয় শিবিরের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু জবাবে পাকিস্তানের নাম উচ্চারণই করলেন সূর্য।
শুক্রবার ওমানের বিরুদ্ধে ২১ রানে জয়ী হয়ে সুপার ফোরে উঠেছে ভারত। ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সঞ্চালক সঞ্জয় মঞ্জরেকর সূর্যকে প্রশ্ন করেছিলেন, 'রবিবার পাকিস্তান ম্যাচের জন্য ভারত কী তৈরি?' সেই প্রশ্নের উত্তরে সূর্যকুমার পাকিস্তানের নাম পর্যন্ত উল্লেখ করেননি। তিনি শুধুমাত্র বলেন,'আমরা সুপার ফোরের জন্য তৈরি।' এই সংক্ষিপ্ত জবাবে কার্যত সলমন আঘা, শাহিন আফ্রিদিদের যেন পাত্তাই দিতে চাইলেন না ভারত অধিনায়ক। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে গ্রুপ পর্বে দুটো দলের সঙ্গে সাক্ষাত হয়েছিল ভারতের। সেই ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব বিভাগেই পাকিস্তানকে টেক্কা দিয়েছিল ভারত।
আরও পড়ুন-'আগামিকালই ফিরে আসুন!' H-1B নিয়ে ট্রাম্পের কোপে হোল্ডাররা, কী বলল মাইক্রোসফট?
ওমানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্যাট করতে নামেননি কেন, সেই প্রশ্নও করা হয়েছিল সূর্যকুমার যাদবকে।ম্যাচ শেষে ভারতীয় অধিনায়ককে তাঁর ব্যাটিং পজিশন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বেশ মজাদার জবাব দেন সূর্যকুমার। তিনি বলেন, 'নিঃসন্দেহে পরবর্তী ম্যাচে (আরও উপরের দিকে ব্যাটে নামার) চেষ্টা করব।' তারপরেই হাসিতে ফেটে পড়েন সূর্য নিজেই। অর্থাৎ তাঁর কোনও চোট আশঙ্কা নেই, বরং নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাকিদের সুযোগ দিতেই সূর্য ব্যাটিংয়ে নামেননি বলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে।
আরও পড়ুন-'আগামিকালই ফিরে আসুন!' H-1B নিয়ে ট্রাম্পের কোপে হোল্ডাররা, কী বলল মাইক্রোসফট?
গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টসের পর থেকেই শুরু হয় নাটক। ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব করমর্দন করেননি পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আঘার সঙ্গে। দলপত্র বিনিময়ও হয়নি। ভারতের ব্যাখ্যা ছিল অত্যন্ত স্পষ্ট, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হানায় ২৬ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর পর পাকিস্তানের সঙ্গে সৌজন্য-সৌহার্দ্য সম্ভব নয়। সেই অবস্থানেই আগাগোড়া অনড় থাকেন সূর্যকুমার। পিসিবি অবশ্য এই ঘটনার দায় চাপায় ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটের ঘাড়ে। পাক বোর্ড অভিযোগ তোলে, তিনিই নাকি নাটের গুরু। পাক অধিনায়ককে হাত না মেলানোর উপদেশ দেন। এমনকী টিমশিট বিনিময়েরও বিরোধিতা করেছেন। এই আচরণকে ‘স্পিরিট অফ ক্রিকেটে’র বিরোধী বলে চিহ্নিত করে তাঁকে সরানোর দাবি তোলে পিসিবি।তিনবার পাইক্রফটকে সরানোর জন্য আইসিসি-র চাপ তৈরি করে পাকিস্তান। প্রস্তাব উঠে, বদলি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হোক রিচি রিচার্ডসনকে। সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদন অনুসারে, এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসেন আইসিসির সিইও সংযোগ গুপ্তাপুরো আলোচনায় সামনের সারিতে ছিলেন সংযোগ। তাঁর নেতৃত্বেই আইসিসি নত হতে অস্বীকৃতি জানায়।