২০১৯ সালের পর থেকেই আইসিসির কনকাসন সাব নিয়মটা চালু হয়েছে। আর এই নিয়মের জাঁতাকলে পড়েই ভারত-ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টে ভুগতে হয়েছে ভারতরকে। কারণ ঋষভ পন্তের চোট থাকলেও তিনি সাবস্টিটিউট বা রানার্স পাননি। ভাঙা পা নিয়েই খেলা চালিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। সুনীল গাভাসকর এবার দাবি করলেন, যাতে ক্রিকেটে ফের নয়া সাবস্টিটিউটের নিয়ম ফিরিয়ে আনা যায়, যাতে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের মানেরই একজন খেলোয়াড়কে প্রয়োজনে দলে আনা যায়। যেমন উইকেট কিপারের চোট লাগলে উইকেট কিপার, আবার বোলারের পরিবর্তে বোলার।
বর্তমানে নিয়ম রয়েছে কোনও ক্রিকেটারের যদি মাথায় বল লাগে বা অজ্ঞান হয়ে যায় সেক্ষেত্রে কনকাশন সাব হিসেবে সেই খেলোয়াড়কে বদল করা যায়। মার্নাস লাবুশেন ২০১৯ অ্যাসেজের সময় প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে কনকাসন সাব হিসেবে মাঠে আসেন যখন জোফ্রা আর্চারের বল স্টিভ স্মিথের মাথায় লেগেছিল। এরপর স্মিথ রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে যান।
সুনীল গাভাসকর বলেন, ‘আমার সব সময়ই মনে হয়েছে প্রতিটি বিভাগেই একটা না একটা পরিবর্ত ক্রিকেটার দরকার। যদি কেউ শর্ট বল খেলতে না পারে, তাহলে তার টেস্ট খেলার দরকারই নেই, টেনিস বা গল্ফ খেলতে পারে। যে শর্ট বল খেলতে পারছে না তাকে কনকাসন সাব দেওয়া হচ্ছে, আর এখানে পন্তের কত বড় চোট লেগেছে দেখা যাচ্ছে, সেখানে ওর সাবস্টিটিউট পাওয়া যাচ্ছে না। এটা ঠিক নয়। আমি চাই আইসিসির কোনও কমিটি এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিক। আইসিসির ক্রিকেট কমিটি রয়েছে যেখানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মাথায় বসেছেন, জয় শাহ আর আসিসির সিইও সঞ্জোগ গুপ্তাও রয়েছেন ’।
পন্তের যেহেতু পরিবর্ত কোনও ক্রিকেটার ব্যাট করতে পারত না, তাই তাঁকেই প্রথম ইনিংসে ভাঙা পা নিয়েই ফের ব্যাট করতে নামতে হয়েছিল। তিনি সেই অবস্থাতেই অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। তার পরিবর্তে আপাতত ধ্রুব জুরেল উইকেটকিপিং করছেন।