ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ২ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়েছে চলতি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বৃত্ত থেকে। থ্রি লায়ন্সদের বিরুদ্ধে অভিযোগ স্লো ওভার রেটের। আর ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয়ের পরও এভাবে পয়েন্ট কেটে নেওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকস। তিনি সরাসরি একহাত নিলেন আইসিসিকে। ইংল্যান্ডের পয়েন্ট কাটা যাওয়া ছাড়াও ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ কাটা যায় স্টোকসদের।
স্টোকস আগেই জানিয়েছিলেন এশিয়ার পরিবেশের সঙ্গে সেনা দেশগুলোর পরিবেশ এক নয়, কারণ এশিয়ায় স্পিন বোলিং বেশি হয়। আর সেনা দেশে পেস বোলিংয়ের ভাগ বেশি। ফলে পেসাররা বল করতে একটু হলেও বেশি সময় লাগে তা সবারই জানা। এবার এই নিয়েই ফের একবার মুখ খুললেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক।
স্টোকস বলছেন, ‘ওভার রেট নিয়ে আমি চিন্তিত নই, কারণ আমি তো ইচ্ছাকৃতভাবে স্লো ওভার রেট করছি না। আমার মনে হয়, এটা নিয়ে একটা বাস্তবিক চিন্তাভাবনা করা উচিত। এশিয়ার ৭০ শতাংশ স্পিন হয়, আর ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের ৭০-৮০ শতাংশ পেস বোলিং হয়। সিমারদের তুুলনায় স্পিনারদের বোলিং করতে কম সময় লাগে, তাই সাধারণ বুদ্ধি অনুযায়ী সব মহাদেশে কখনও একই রকম ওভার রেট রাখা যেতে পারে না। এটা আমি মানছি যে শেষ কয়েক বছরে ওভার রেট অনেকটাই কমে গেছে, কিন্তু খেলা যখন টানটান জায়গায় রয়েছে তখন নিশ্চয় ওভার রেটের কথা মাথায় রেখে স্পিনারদের দিয়ে শুধু বোলিং করানো যায় না। কারণ আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলছি জেতার জন্য, ওভার রেট ঠিক রাখার জন্য নয়। আমার মনে হয় সাধারণ মানুষেরও এই নিয়ম পছন্দ নয় ’।
লর্ডস টেস্টের পর অন ফিল্ড আম্পায়ারসহ তৃতীয় আম্পায়ার এবং চতুর্থ আম্পায়াররা স্লো ওভার রেটের কথা ইংরেজ অধিনায়ককে জানান, সেই শাস্তি মেনেও নেন স্টোকস। এর পরে তাঁকে ২ পয়েন্টও কাটা যায়। যদিও স্টোকস কিন্তু অন্য একটি কারণও তুলে ধরেছেন। তিনি বলছেন, ‘একটা কথা বুঝতে হবে, ফাস্ট বোলাররা যখন টানা বোলিং করছে, তখন তাঁরাও ক্লান্ত হচ্ছে, একটু সময় নিচ্ছে, স্ট্রেচিং করছে। ফলে ক্লান্ত শরীরে বোলিং করলে একটু সময় লাগতেই পারে। আর আমরা এই সিরিজের ১৫তম দিনে খেলছিলাম, ফলে ক্লান্তি আসাটাই স্বাভাবিক। আমাদের একমাত্র স্পিনার শোয়েব বাশিরও চোট পেয়েছিল। তাই স্পিনারদের দিয়েও বেশি বোলিং করাতে পারিনি। তাই খেলা তো স্লো হবেই, আর কিছু কিছু সময় আসে যখন স্ট্র্যাটেজিগত দিক থেকেই খেলা একটু স্লো করতে হয় ’।