ভারতীয় দল এই মূহূর্তে সিরিজে ১-২ ফলে পিছিয়ে গেছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। এই অবস্থা থেকে টিম ইন্ডিয়াকে ফিরতে গেলে স্পেশাল কিছু করে দেখাতে হবে। টিম ইন্ডিয়ার বোলিং ডিপার্টমেন্ট নিয়ে কথা হলেও ভারতীয় বোলাররা কিন্তু মোটের ওপর নিজেদের কাজটা করে দিচ্ছেন। মানে সিরাজ ব্যর্থ হলে বুমরাহ, কিংবা বুমরাহ না থাকলে আকাশ দীপ আবার কৃষ্ণা ব্যর্থ হলে সিরাজ, কেউ না কেউ ঠিক জ্বলে উঠছেন। কিন্তু ব্যাটিংয়ে টেলেন্ডার নিয়ে এতদিন সমস্যা থাকলেও তৃতীয় টেস্টে গোটা ব্যাটিং লাইন আপের পারফরমেন্স নিয়েই হতাশ হয়েছেন অনেকে। একমাত্র লোকেশ রাহুল দুই ইনিংসেই নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান, জাদেজাও তাই। অভিজ্ঞতার দিক থেকেই ইংল্যান্ডকে পিছনে ফেলার মরিয়া চেষ্টা করছিলেন।
ম্যাচ শেষে শুভমন গিল বলছিলেন, ‘দলের খেলায় আমি গর্বিত। পাঁচ দিনের লড়াকু টেস্টের পর শেষ সেশনে এসে শেষ উইকেট পর্যন্ত দলের লড়াইয়ে আমি গর্বিত। আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম রান তাড়া করার বিষয়ে, কিন্তু যেভাবে ইংল্যান্ড আগ্রাসন দেখাচ্ছিল তাতে আমরা টপ অর্ডারে অন্তত একটা ৫০ রানের পার্টনারশিপ চাইছিলাম। কিন্তু সেটা আমরা পারিনি, আর ওরা আমাদের থেকে ভালো খেলেছে। যেহেতু রান বেশি ছিল না, তাই যতক্ষণ ব্যাটাররা ছিল আমরা আশায় ছিলাম যে ম্যাচ জেতা সম্ভব। একটা ৫০-৬০ রানের পার্টনারশিপ হলেই ম্যাচ জিতে জেতাম। জাদেজা খুবই অভিজ্ঞ, তাই ওকে আলাদা কোনও বার্তা পাঠাতে চাইনি। টেলেন্ডারদের নিয়ে ও ভালোই ব্যাটিং করছিল, তাই আমি চাইছিলাম যত বেশি সম্ভব টেলেন্ডাররা ব্যাটিং করুক। আমরা প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সময়ও ভাবছিলাম যদি ৮০-১০০ রানের লিড পাওয়া যায় তাহলে ভালো হবে কারণ এই উইকেটে পঞ্চম দিনে ১৫০-২০০ চেজ করা কঠিন হবে। আজ যদি একটা ৫০-৬০ রানের পার্টনারশিপ পেয়ে যেতাম আমরা তাহলে আজ খেলার ফল অন্যরকম হতেই পারত ’।