টেস্ট অধিনায়ক পদ থেকে রোহিত শর্মা না সরে গিয়ে তিনি সরাসরি এই ফরম্যাট থেকেই অবসরের কথা জানান। এরপরই অধিনায়ক হিসেবে রাস্তা খুলে যায় শুভমন গিলের। ২০২৭ ওডিআই বিশ্বকাপকে আপাতত রোহিত শর্মা টার্গেট করছেন বটে, কিন্তু ইংল্যান্ডে যদি শুভমন গিল ভালো কিছু করে দেখাতে পারেন এই দল নিয়ে, তাহলে তাঁর হাতেই ভারতীয় দলের ওডিআই ক্যাপ্টেন্সির ভারও তুলে দেওয়া হতে পারে, মনে করছে বোর্ডেরই একাংশ।
এর কারণ হচ্ছে, ২০২৭ বিশ্বকাপের সময় রোহিতের বয়স হবে ৪০ বছর। এমনিতেই হিটম্যানের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। আর সূর্যকুমার যাদবকে টি২০ ফরম্যাটে ক্যাপ্টেন করা হলেও তাঁর বয়স প্রায় ৩৪। তাই তাঁকেও যে খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য অধিনায়ক রাখা যাবে, তেমনটাও নয়। তাই ওডিআই ফরম্যাটেও টেস্টের মতোই একজন অধিনায়কেই দীর্ধমেয়াদি পরিকল্পনার কথা ভাবছে বোর্ডের নির্বাচকরা, অন্তত সূত্রের খবর তেমনটাই।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে টি২০ বিশ্বকাপ হওয়ার কথা, এদিকে সামনে ইংল্যান্ড সিরিজসহ বেশ কয়েকটা সিরিজে যদি শুভমন গিল ভালো পারফরমেন্স করতে পারেন, তাহলে তিনি নিজেের পায়ের তলার জমিও যেমন শক্ত করতে পারবেন, তেমনই রোহিতেরও চাপ বাড়বে। টি২০ বিশ্বকাপের আগে ভারতের ১২টা ওডিআই ম্যাচ রয়েছে। তিনটি করে বাংলাদেশ এবং অস্ট্রেলিয়ার, আর বাকি ৬টি দঃ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের মাটিতে।
বিসিসিআইয়ের এক কর্তাই বলছেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, আমরা অনেকেই ভেবেছিলাম রোহিত শর্মা হয়ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পরই এই ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়াবে। এখনও রোহিতের সঙ্গে নির্বাচকদের কোনও আলোচনাই হয়নি ওর ওডিআই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ’।
রোহিতের ওডিআই খেলা নিয়েও এত প্রশ্ন ওঠার কারণ, তাঁর মাঝে মধ্যেই চোট লাগার প্রবণতা এবং ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে রিফ্লেক্সের অভাব। যেমন কিছুদিন আগে জাতীয় দলের হয়ে স্লিপে অক্ষর প্যাটেলের বোলিংয়ে ক্যাচ মিস করে তিনি অক্ষরের হ্যাটট্রিকের সুযোগ নষ্ট করে দেন। আর এবারের আইপিএলেও অধিকাংশ সময়ই তাঁকে দেখা গেছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে খেলতে নামতে। রোহিত নিজে মুখে অবশ্য বারবারই বলেছেন, যে ওডিআই খেলা তিনি চালিয়ে যেতে চান এবং এই ফরম্যাট থেকে অবসরের কোনও পরিকল্পনাই নেই তাঁর। তবে বোর্ডের নির্বাচকরা যদি মনে করেন যে রোহিতকে দিয়ে আর হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে তাঁরা যখন তখন সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন। যদিও তাঁর আগে প্রয়োজন সঠিক বিকল্প, যা গিলের মধ্যে খুঁজছে নির্বাচকরা।