শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জয়ের ধারা বজায় রেখেই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছে রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়া। ভারতীয় দলের হয়ে শ্রেয়স আইয়ার এবং বিরাট কোহলি ছিলেন দলের দুই সর্বোচ্চ রান স্কোরার। আর কিউয়ি শিবিরের সর্বোচ্চ রান স্কোরার ছিলেন রাচিন রবীন্দ্র। ফাইনালে একটা সময় তাঁর ইনিংস রক্তচাপ বাড়িয়ে দিচ্ছিল ১৪০ কোটি ভারতবাসির, যদিও শেষ হাসি হেসেছে বিরাট-রোহিত-কুলদীপরাই।
প্রতিযোগিতার সেরা হয়েছেন রাচিন
বল হাতে ২৯ বলে ৩৭ রান করেন ICC Champions Trophy ফাইনালে রাচিন রবীন্দ্র। প্রতিযোগিতায় ফাইনালের আগেই দুটি শতরান হয়েছিল তাঁর। ফাইনালেও যে গতিতে দৌড়াচ্ছিলেন, তাতে মাথা ব্যথা বাড়তেই পারত ভারতের। তবে কুলদীপের গুগলিটাই রিড করতে পারেননি ভারতীয় বাবা-মায়ের এই সন্তান, আর তাতেই তাঁর ইনিংসে জবনিকা পড়ে। যদিও ২৬৩ রান করে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন তিনি।
বল হাতেও ভালো পারফর্মেন্স কিউয়ি তারকার
স্রেফ ব্যাট হাতে নজর কাড়াই নয়, এই ম্যাচে বল হাতেও ভালোই ছন্দে ছিলেন রাচিন। আসলে রানের পুঁজি যদি কিউয়িদের একটু বেশি থাকত, তাহলে দুবাইয়ের উইকেটে টিম ইন্ডিয়াকে বেগ দিয়ে দিতে পারতেন তাঁরা। তবে সেটা না হওয়ায় রাচিনের ভালো বোলিংও তেমন ফল পেল না। ১০ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে তোলেন ১ উইকেট। এক্ষেত্রে অবশ্য লোকেশ রাহুলের ঠান্ডা মাথার ইনিংসেরও প্রশংসা করতে হবে।
কাপ হেরে হতাশ রাচিন
রাচিন রবীন্দ্র বলেন, ‘অবশ্যই এই ফিলিংসটা একটু টক-ঝাল। তবে ফাইনাল হিসেবে খুব ভালো খেলা হয়েছে। আমরা এতদিন বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ভারতীয় দলকেও শুভেচ্ছা। প্রতিযোগিতায় আমরা যেভাবে এতদূর এসেছি এবং এমন দলের হয়ে খেলতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমাদের টার্গেট ছিল ফাইনালে ওঠা, আর আমরা সব ম্যাচকেই গুরুত্ব দিয়ে খেলেছি। আমার যারা সমর্থন করেছে তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানানো শুরু করলে আর শেষ হবে না। এখানে ট্রফিটা জিততে পারলে খুবই ভালো হত। তবে ক্রিকেট কখনও কখনও এমনই নির্মম হয় ’।
বোলিংয়ে মন দিতে বলেছেন স্যান্টনার
এরপর নিজের বোলিং নিয়েও কথা বলেন তিনি। প্রতিযোগিতার সেরা হওয়া ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি বোলিং করতে ভালোবাসি। আমায় স্যান্টনার মজা করে বলে যে আমি নেটে বোলিং অনুশীলন তেমন করছি না। আমাকে সেদিকেও নজর দিতে হবে। ব্ল্যাক ক্যাপসদের সবাই তাঁদের নিজেদের কাজটা ভালোভাবে পালন করে, সেটা অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হোক বা তরুণ ক্রিকেটার, সেই কারণেই দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। যখন অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকে, তখন এমন পরিস্থিতিতেও সামান দিতে জেনে যায় মানুষ ’।