বিশ্বকাপের ক্রিকেট মহাযজ্ঞের সময় বিশ্ব ক্রিকেট পেল খারাপ খবর। অস্ট্রেলিয়ার পাক বংশদ্ভূত ক্রিকেটার ফাওয়াদ আহমেদ নিজের সন্তানকে হারালেন। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে এই কথা তিনি নিজে জানিয়েছেন। আহমেদের পুত্র সন্তান জন্মের পর থেকেই কঠিন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিল। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে মারা যান এই একরত্তি।
আহমেদের পুত্র সন্তান যে জন্মের পর থেকে অসুস্থতায় ভুগছিল একথা তিনি আগে সকলকে জানিয়েছিলেন। প্রত্যেকে তাঁর পুত্র সন্তানের দ্রুত সুস্থতার কামনা করেন। তবে গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা ও চিকিৎসার কঠিন পদ্ধতি সহ্য করতে পারেনি আহমেদের সন্তান। এক্স হ্যান্ডেলে নিজের পুত্র সন্তান বিয়োগের কথা পোস্ট করেন তিনি। আহমেদ লেখেন, 'আমাদের আবার দেখা হবে দেখা হবে দেবদূত। দুর্ভাগ্যবশত আমার ছোট্ট সন্তান দীর্ঘদিন কঠিন লড়াইয়ের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিল। অবশেষে কঠিন লড়াইতে হার মানতে হল ওকে। আমি মনে করি ও সঠিক জায়গাতে পৌঁছেছে। আমরা তোমাকে খুব মিস করবো। আমি আশা করব কোনও খেলোয়াড়কে বা কাউকেই এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেন যেতে না হয়।' এই পোস্ট ভাইরাল হতে প্রত্যেক নেট নাগরিক তাদের সহমর্মিতা জানাতে থাকেন। প্রাক্তন পাক জোরে বোলার সোহেল তানভীর কমেন্টে লেখেন, 'আল্লাহ তোমাকে সবর দান করুক।'
ফাওয়াদ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি ওয়ানডে এবং ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। দুই ফরম্যাটেই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনি শেষবার খেলেছেন ২০১৩ সালে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যাওয়ার আগে ফাওয়াদ পাকিস্তানে ১০টি প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছিলেন। আহমেদকে ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। এর ফলে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের হয়ে তার খেলার আর কোনও বাধা থাকেনি। তাঁর ভাই জুনায়েদ খান এবং ইয়াসির শাহ পাকিস্তানের পুরুষ ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেন। এই বছরের শুরুর দিকে, তিনি বিবিএলে মেলবোর্নের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। কিন্তু হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়া শন মার্শের বদলি ক্রিকেটার হিসেবে এই সুযোগ পেয়েছেন।
তবে অজি ক্রিকেটারের সদ্যজাতের মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা বিশ্ব ক্রিকেটে। বিশ্বকাপের মধ্যে এমন ঘটনা স্বাভাবিক ভাবেই ধাক্কা দিয়েছে ক্রিকেটারদের।