আইপিএল ২০২৫-এর ৪৩তম ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ফাস্ট বোলার মহম্মদ শামি চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম বলেই ইতিহাস লিখে ফেলেছেন। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয় বলে তিনি একটি ভুল করে বসেন। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় বলটি তিনি নো-বল করে বসেন। কিন্তু এই নো-বলটি লাইন ক্রস করার জন্য ছিল না, এমন কী উচ্চতার জন্যও ছিল না। বিশেষ কারণে বলটি নো হয়। যা ক্রিকেটে সচারাচর ঘটে না। আর এমন নো-বল সকলেরই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
আরও পড়ুন: RCB-র বিরুদ্ধে দল আরও একটি ম্যাচ হারতেই, বেঙ্গালুরুর মদের দোকানের দিকে ছুটলেন RR CEO- ভিডিয়ো
প্রথম বলেই ইতিহাস গড়েন শামি
মহম্মদ শামি সিএসকে-র বিরুদ্ধে ম্যাচে বল হাতে খুবই বিস্ফোরক মেজাজে শুরুটা করেছিলেন। ম্যাচের প্রথম বলেই তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের তরুণ ওপেনার শেখ রশিদের উইকেট নেন। আইপিএলে চতুর্থ বারের মতো ম্যাচের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নিলেন শামি। তিনিই একমাত্র বোলার, যিনি চার বার এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। এছাড়াও, তিনি আইপিএলের প্রথম বোলার হিসেবে চতুর্থ বারের মতো ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘খোলাখুলি মেনে নেওয়া, পাকিস্তান এটা করিয়েছে’, এবার নিজের দেশের বিরুদ্ধে সরব প্রাক্তন ক্রিকেটার
আইপিএল ম্যাচে প্রথম বলে সবচেয়ে বেশি উইকেটের সংখ্যা
৪ বার – মহম্মদ শামি
২ বার – ডার্ক ন্যানস
২ বার – লসিথ মালিঙ্গা
২ বার – উমেশ যাদব
২ বার – ভুবনেশ্বর কুমার
২ বার – ট্রেন্ট বোল্ট
দ্বিতীয় বলে বড় ভুল করেন বলেন শামি
ম্যাচের প্রথম বলেই মহম্মদ শামি ঐতিহাসিক কীর্তি গড়েন, কিন্তু দ্বিতীয় বলটিই তিনি নো করে বসেন। আসলে, বোলিং করার সময় তাঁর হাত উইকেটে গিয়ে লাগে। রান আপের সময় এই ঘটনাটি ঘটেছিল, যে কারণে আম্পায়ার এই বলটিকে নো-বল ঘোষণা করেছিলেন। ক্রিকেটে এমন ঘটনা খুব কমই দেখা গিয়েছে, যখন একজন বোলার বোলিং করার সময় উইকেটে নিজের হাত লাগিয়ে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন: হয়তো পরের বছর IPL-এ খেলতে দেখব না ওকে… RR-এর ১৪ বছরের বৈভবকে নিয়ে কেন এই কথা বললেন সেহওয়াগ?
জয় দুই দলের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ
এই ম্যাচটি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং চেন্নাই সুপার কিংস- দুই দলের জন্য সমান ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। প্লে-অফের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে দুই দলের কাছে এই ম্যাচে জয় চাই। এই মরশুমে এই ম্যাচের আগে উভয় দলই এখনও পর্যন্ত ৮টি করে ম্যাচ খেলে ফেলেছে এবং মাত্র ২টি করে ম্যাচ জিতেছে। এমন পরিস্থিতিতে, একটি পরাজয় প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে দিতে পারে।