পরপর চোট! ১দিন মাঠে তো ১ মাস মাঠের বাইরে! বুমরাহ-র পথেই হাঁটতে চলেছেন LSG পেসার

আইপিএলের মঞ্চে গতবার হইচই ফেলে দিয়েছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টের পেসার মায়াঙ্ক যাদব। পরপর ১৫০+ গতিতে বোলিং করে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল থেকে শুরু করে শিখর ধাওয়ান, অনেক তারকা ব্যাটারকেই তিনি সমস্যায় ফেলে দিয়েছিলেন। ভারতীয় পেসারদের মধ্যে উমরান মালিকও দ্রুত গতিতে বোলিং করতেন, তিনিও যেভাবে চোটে চোটে জর্জরিত হয়ে ছিটকে গেছেন। মায়াঙ্ক যাদবের অবস্থাও হয়েছে তেমন। মায়াঙ্ক তো গতবারেও এলএসজির হয়ে অর্ধেক ম্যাচে খেলতে পারেননি, এবারও তাঁর চোট তাঁকে এতটাই ভুগিয়েছেন এবারেও সেইভাবে দলের স্বার্থে কাজে লাগেননি তিনি। গত মাসেই আইপিএল ২০২৫-র ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে কামব্যাক করেছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের দ্বিতীয় ম্যাচের পরই ফের একবার পিঠের চোটের জন্য তিনি আইপিএল থেকে ছিটকে যান, ফলে শেষ লেগ আর খেলতেই পারেননি। এত অল্প বয়সেই যদি টানা চোট লাগতেই থাকে, তাহলে তো কেরিয়ারই শেষ হয়ে যাবে।তাই ভারতীয় দলের পেসার জসপ্রীত বুমরাহ-র পথেই হাঁটতে চলেছেন লখনউ সুপার জায়ান্টের এই উঠতি জোরে বোলার। জাতীয় দলেও তিনি গতবছর সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু সেই এক চোটের জন্যই এরপর আর সেভাবে নিয়মিত সদস্য হয়ে উঠতে পারেননি। এবারের আইপিএলে গতিও অনেকটা কমিয়েছিলেন দিল্লির এই পেসার, কিন্তু চোট কিছুতেই যেন পিছু ছাড়তে চাইছে না তাঁর। এলএসজির রিটেন হওয়া এই পেসার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ২ উইকেট নেওয়ার পর পঞ্জাব কিংস ম্যাচে আর কোনও উইকেট পাননি। ভারত-পাক অশান্তির আবহে আইপিএল যখন স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর ফের শুরু হল, তখন আর এলএসজির অনুশীলনে যোগ দেননি মায়াঙ্ক। জানানো হয়, ফের একবার পিঠের চোটে তিনি কাহিল। রেভ স্পোর্টজের রিপোর্ট অনুাযায়ী মায়াঙ্ক যাদব কিছুদিনের মধ্যেই নিউজিল্যান্ডে যেতে চলেছেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে নিজের ব্যাক ইনজুরি নিয়ে কথা বলার জন্য। প্রয়োজন পড়লে জসপ্রীত বুমরাহ-র মতোই তিনি অস্ত্রোপচারও করাতে পারেনি। নিউজিল্যান্ডেই বুমরাহ এর আগে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার পর অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। গত বর্ডার গাভাসকর ট্রফির শেষ ম্যাচে বুমরাহ যখন চোট পেয়েছিলেন,তখন তাঁর রিপোর্টও নিউজিল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে পাঠানো হয়েছিল। সিডনি টেস্টের সময়ই বুমরাহ ব্যাক ইনজুরিতে ভুগছিলেন এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও খেলতে পারেননি। এরপর আইপিএলেও তিনি শুরুর দিকে অংশ নিতে পারেননি। যদিও এরপর দুর্ধর্ষ কামব্যাক করেছেন মুম্বইয়ের তারকা পেসার, ১১ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৬.৩৭ ইকোনমিতে।