দিল্লি ক্যাপিটালসের বোলিং ইউনিটে কুলদীপ যাদবের থাকা বা না থাকায় কী পার্থক্য হয়? এই প্রশ্নের উত্তরটা শুক্রবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে পরিষ্কার করে দিয়েছেন কুলদীপ যাদব। মাত্র ৯ বলে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের রং-ই বদলে দেন কুলদীপ। তিনি নিজের পরপর ২ ওভার মিলিয়ে নেন তিন উইকেট। অল্পের জন্য মিস করেন হ্যাটট্রিকের সুযোগ।
আরও পড়ুন: বুমরাহের বিরুদ্ধে ২-৩ বছর ধরে নেটে খেলেন না সূর্য- কারণটা নিজেই ফাঁস করলেন MI তারকা
কুঁচকির চোটের কারণে টানা তিনটি ম্যাচ খেলতে পারেননি কুলদীপ। এদিন লখনউ সুপার জায়ান্টসের ঘরের মাঠে তাদের বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি। আর মাঠে ফিরেই বিধ্বংসী মেজাজে ধরা দিলেন তিনি। কুলদীপ লখনউয়ের ইনিংসের অষ্টম ওভারে নিজের প্রথম ওভার বল করতে এসেছিলেন। আর এই ওভারেই পরপর দুই উইকেট তুলে নেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফেরান কেএল রাহুলকেও।
একই ওভারে কুলদীপ নিলেন ২ উইকেট
ওভারের তৃতীয় বলে মার্কাস স্টোইনিসকে আউট করেন। ১০ বলে ৮ করে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন স্টোইনিস। কুলদীপের বলে বড় শট মারার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু বলটি ব্যাটের বাইরের প্রান্তে লেগে পয়েন্ট এবং গলির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা সোজা ইশান্ত শর্মার হাতে চলে যায়। তাঁর পরিবর্তে ব্যাট করতে নেমেছিলেন নিকোলাস পুরান। তিনি গোল্ডেন ডাকে বোল্ড হন। পুরানের বলটি ছিল চমকে দেওয়ার মতো। ব্যাটার নিজেই বুঝে উঠতে পারেননি বলটি।
আরও পড়ুন: DC ম্যাচে পাওয়া যাবেই না, কবে মাঠে ফিরবেন মায়াঙ্ক? আপডেট দিলেন LSG কোচ ল্যাঙ্গার
বোকা বনলেন পুরান
এই ইনিংসের আগে পুরান চার ইনিংসে করেছিলেন মোট ১৭৮ রান। এই আইপিএল মরশুমে মাত্র একবারই আউট হয়েছেন তিনি। এবং চারটি ইনিংসেই গুরুত্বপূর্ণ রান করেছিলেন। কিন্তু এদিন প্রথম বলেই আউট হয়ে যান। ওভারে চতুর্থ বলে কুলদীপ নিখুঁত গুগলি দিয়েছিলেন, যা পুরনের অফ স্টাম্পের ঠিক বাইরে পিচ করা হয়েছিল। এলএসজি ব্যাটার টার্নের জন্য খেলেন। তবে বল সোজা তাঁর স্টাম্প উড়িয়ে দেয়। গোল্ডেন ডাকে ফিরতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটসম্যানকে। পঞ্চম বলে আর উইকেট নেওয়া হয়নি। তা না হলে হ্যাটট্রিক হয়ে যেত কুলদীপের।
রাহুলও খেলেন ভ্যাবাচ্যাকা
তবে কুলদীপ নিজের প্রথম ওভারে হ্যাটট্রিক করতে না পারলেও, তাঁর দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে তিনি আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। আসলে কুলদীপ প্রথম ওভারের শেষ বলে এলএসজি অধিনায়ক কেএল রাহুলকেও প্রায় আউট করে ফেলছিলেন। কিন্তু বল লাইনের বাইরে কিছুটা পিচ করেছিল। তবে সেই অসমাপ্ত কাজটি কুলদীপ করেন ইনিংসের দশম ওভারে। এই ওভারের তৃতীয় বলে কুলদীপ একটি দুরন্ত ডেলিভারি করেন। তবে সেটি রাহুলের ব্যাটের কানায় লেগে ঋষভ পন্তের হাতে ক্যাচ দেন। ২২ বলে ৩৯ করে সাজঘরে ফেরেন রাহুল। আর কুলদীপ ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। নিঃসন্দেহে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে এটি দুরন্ত পরিসংখ্যান।