ডিআরএস-এর জন্য নাছোড়বান্দা হয়ে ঝোলাঝুলি করছিলেন অংশুল কাম্বোজ। তবে চেন্নাই সুপার কিংসের অধিনায়ক মহেন্দ্র সি ধোনি কিছুতেই রাজি হচ্ছিলেন না। কিন্তু হাল ছাড়েননি ২৪ বছরের তরুণ। তাঁর নাছোড় জেদের জেরেই বাধ্য হয়ে ডিআরএস নেন ক্যাপ্টেন কুল। আর এতে বড় লাভ হয় সিএসকে-র। কারণ এর জেরে লখনউ সুপার জায়ান্টসের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
আইপিএল ২০২৫-এর ৩০তম ম্যাচে সোমবার (১৪ এপ্রিল) একানা স্টেডিয়ামে লখনউ সুপার জায়ান্টসের মুখোমুখি হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। আর এই ম্যাচেই অংশুল তাঁর অধিনায়কের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল, সেটা প্রমাণ করে দেন। সেই সঙ্গে তাঁর জেদের কাছে হার মেনে, ধোনির শেষমেশ ডিআরএস নেওয়ার সিদ্ধান্তই সঠিক বলে প্রমাণিত হয়।
অংশুলের জেদই সঠিক বলে প্রমাণিত হয়
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে সিএসকে অধিনায়ক অংশুল কম্বোজকে দিয়ে বোলিং করিয়েছিলেন। সেই ম্যাচে তিনি একটি উইকেট নিয়েছিলেন। আর এদিন লখনউ সুপারজায়ান্টসের বিরুদ্ধে ম্যাচে, চতুর্থ ওভারে বল করতে এসেছিলেন অংশুল কম্বোজ। এই ওভারের শেষ বলটি এলএসজি-র উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরানের প্যাডে লাগে।
অংশুল জোরালো আবেদন করেন। কিন্তু আম্পায়ার তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন। ধোনিও ইঙ্গিত দেন যে, বল বাইরে দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু ধোনিকে ডিআরএস নিতে জোর করেন অংশুল। কিছুটা বাধ্য হয়েই ধোনি ডিআরএস নেন। তবে আল্ট্রা এজে দেখা যায়, পুরান স্পষ্ট আউট ছিলেন। এর পর আম্পায়ারকেও তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয় এবং মাত্র ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান নিকোলাস পুরান। যদি অংশুল এই ডিআরএস নেওয়ার ব্যাপারে জেদ না করতেন, তাহলে ম্যাচের ফলাফল অন্য রকম হতে পারত।