দ্বিতীয় টেস্টে ভারতীয় দল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩৩৬ রানে ম্যাচ জিতে নিয়েছে। এজবাস্টনে গত সপ্তাহে লজ্জার হারের পর ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোককসে বলতে শোনা গেছিল, নাকি পিচের দোষেই তাঁদের হারতে হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে স্টোকস দাবি করেছিলেন, বার্মিংহ্যামের পিচ নাকি ভারতীয় উপমহাদেশের উইকেটের মতো আচরণ করেছে। যা শুনতে মোটেই খুব একটা ভালো লাগেনি ক্রিকেট ভক্তদের।
স্টোকসকে বলতে শোনা যায়, ‘সত্যি কথা বলতে কি, আমার মনে হয়েছে খেলায় সময় যতই গড়িয়েছে, ততই এই উইকেটটা সাবকন্টিনেন্টের উইকেটের মতো আচরণ করেছে। শুরুর দিকে যাও বা একটু ছিল বোলারদের জন্য, তাই সেটা শুরুর দিকে আমরা কাজে লাগাতে পেরেছিলাম। কিন্তু খেলায় সময় যতই গড়িয়েছে, ততই কিন্তু আমাদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হতে গেছে। আর ভারত যেহেতু এই ধরণের পিচে খেলে অভ্যস্ত তাই ওরা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফেলেছে। এটা হতেই পারে, তবে তার জন্য মন খারাপ করলেও তো চলবে না। এক একটা সময় হতেই পারে, অন্য কোনও দলের দক্ষতার কাছে হার মানতে হল। সেটাই হয়েছে ’।
এবার তৃতীয় টেস্ট শুরুর আগে স্টোকসের এই মন্তব্যেরই পাল্টা দিলেন ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ সিতাংশু কোটক, কারণ তাঁর মনে হয়েছে এজবাস্টনে পঞ্চম দিনেও বলের সুইং হচ্ছিল, যেটা কখনই ভারত বা এশিয়ায় দেখা যায় না সাধারণত। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমার কখনই মনে হয়নি যে এটা সাবকন্টিনেন্টের উইকেট। যখনই আমাদের বোলাররা বল করেছে, বলের সিম মুভমেন্ট দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ ওভারের পরেও বলের মুভমেন্ট দেখা দিয়েছে। শেষদিনেও কিন্তু বল একটু টার্ন হচ্ছিল। যখন ঘাস দিয়েই এমন শক্ত উইকেট তৈরি করা হয়, তখন ফুটওয়ার্কের জায়গাগুলো বোলাররা কাজে লাগায়। ’। শেষ দিনে জাদেজা এবং ওয়াসিংটন সুন্দররা বল টার্ন করাচ্ছিল এজবাস্টনে।