একদিকে যখন টিম ইন্ডিয়া সিনিয়র দল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ম্যাচ জিততে হাবুডুবু খাচ্ছে, ঠিক তখন অন্যদিকে সহজেই জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সহজেই এবং স্বাচ্ছন্দের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হারালো তারা। একটি নয়, দুটি নয়, একেবারে ৭ উইকেটে ম্যাচ পকেটে তুলল তারা। ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই এদিন এগিয়েছিল ভারত। ম্যাচে দেখা গেল বল হাতে আরাধ্য শুক্লার বিধ্বংসী বোলিং এবং ব্যাট হাতে আর্শিন কুলকার্নির মারকুটে ব্যাটিং। সব মিলিয়ে একটি সম্পূর্ণ 'টিম গেম'য়ের উদাহরণ তৈরি করল ভারতের তরুণ ব্রিগেড। ম্যাচ শেষে, ভারতের এই খেলার প্রশংসা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার জুনিয়র দলের অধিনায়ক ডেভিড টিগারও। পাশাপাশি, নজর কেড়েছে দর্শকদেরও।
মঙ্গলবার, অর্থাৎ ২ জানুয়ারি জোহানেসবার্গে তৃতীয় ম্যাচ খেলার জন্য মুখোমুখি হয় দুই দলের তরুণ ক্রিকেটাররা। এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাটিং করে ৪৭ ওভার শেষ হওয়ার আগেই ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ওপেনিং জুটি ছাড়া কেউই বিশেষ প্রভাব ফেলতে পারেনি। শুরুর দিকে দ্রুত গতিতে রান করা শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু মাঝের ওভারগুলিতে লাগাতার উইকেট পড়তে থাকায় চাপে পড়ে যায় তারা।
ভারতীয় বোলারদের দাপটের সামনে রীতিমতো আত্মসমর্পণ করে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। একমাত্র অর্ধশতরানটি আসে ওপেনার লুয়ান ড্রে প্রিটোরিয়াসের ব্যাট থেকে। তিনি করেন ৬৭। এছাড়া ৪৬ রান করেন আর এক ওপেনার স্টিভ স্টক। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন আরাধ্য শুক্লা। এছাড়া তিনটি উইকেট তোলেন সৌমি পান্ডে এবং দুটি উইকেট পান আর্শিন কুলকার্নি।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে একেবারেই বেগ পেতে হয় না ভারতের ব্যাটারদের। সহজেই বোর্ডে রান তোলা শুরু করে তারা। টপ অর্ডারের সামনে রীতিমতো অপেশাদার দেখায় দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণকে। ভারতের প্রথম তিন ব্যাটারই পার করে ৫০ রানের গণ্ডি। ওপেনার আদর্শ সিং এবং আর্শিন কুলকার্নি করেন ৬৬ এবং ৯১। এছাড়া ৬০ রানের একটি ঝকঝকে ইনিংস আসে আরাভেলি অবনিশের থেকে। ৫৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচ পকেটে তুলে নেয় ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে দুটি উইকেট পান মোকোয়েনা এবং একটি উইকেট তোলেন জুয়ান জেমস।