২০২৪ আইপিএলে পরপর বেশ কয়েকটা ম্যাচে বড় রান উঠেছে। ব্যাটাররাই তাণ্ডব চালিয়েছেন। ট্রাভিস হেড, সুনীল নারিন, সূর্যকুমার যাদব, অভিষেক শর্মারা নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছেন বোলারদের। চিন্নাস্বামীর মতো একটু ছোট মাঠ হলে তো কথাই নেই, ব্যাটাররা আরও সুযোগ পেয়ে যান। কিন্তু এভাবে আর কতদিন। এমনিতেই টি২০ ফরম্যাটকে ব্যাটারদের খেলা হিসেবেই দেখা হয়। তাঁরই মধ্যে ফ্ল্যাট পিচ, ছোট বাউন্ডারি থেকে ব্যাটাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এরকম চলতে থাকলে সেই দিন খুব বেশি দুরে নয়,যখন উঠতি প্রজন্ম বোলার হওয়া থেকে মুখ ফেরাবে, বরং ব্যাটার হওয়ার স্বপ্নই দেখবে তাঁরা। সাধারণত ছোটবেলায় টিভি দেখেই খেলার ইচ্ছা জাগে শিশুদের মধ্যে। এরপরই আসতে আসতে তাঁরা ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেন। তাই ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং প্রাক্তন কোচ বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে উঠতি প্রজন্ম আর বোলার হতে চাইবে না, সকলেই চেষ্টা করবে ব্যাটার হতে।
আইপিএলে এবার যদি দেখা যায়, তাহলে এটা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই যে ব্যাটাররা বাড়তি সুবিধা পেয়েছে। সেটা ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের জন্য হোক বা ফ্ল্যাট পিচ থেকে। কিন্তু ক্রিকেটকে বাঁচাতে গেলে খেলায় সামঞ্জস্য প্রয়োজন। তাই প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এবং স্পিনার অনীল কুম্বলে বলছেন আইপিএলে যতটা বড় সম্ভব বাউন্ডারি করা উচিত, যাতে বোলাররাও নূন্যতম সুবিধা পেতে পারে, এছাড়াও বলের সিম আরও প্রকট করার জন্য সওয়াল করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন-‘আমার ভাইয়ের জন্য গর্বিত’,বিদায়লগ্নে সুনীলকে বার্তা বিরাট কোহলির
টেস্টে ভারতের হয়ে ৬১৯ উইকেটের মালিক অনীল কুম্বলে বলছেন, ‘বোলারদের জন্য এবারের আইপিএল খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে আইপিএলের প্রথম পর্ব। আমি বিশ্বাস করি যদি বাউন্ডারি লাইন বাড়ানো যায় প্রত্যেক মাঠে, তাহলে খেলায় সামঞ্জস্য আসবে। প্রয়োজন হলে ডাগআউট সরিয়ে স্ট্যান্ডে পাঠি দেওয়া হোক, সেক্ষেত্রে কিছু সিট হয়ত নষ্ট হবে। ’
আরও পড়ুন-'সুনীলকে ছাড়া ভারতীয় ফুটবল ভাবতেই পারছি না,দেশের জন্য ওকে ফিরতে হবে',বললেন জেজে
আইপিএলে আরসিবিকে এক সময় নেতৃত্ব দেওয়া কুম্বলে বোলারদের হয়ে সওয়াল করে আরও বলেছেন, ‘ সাদা বলের সিম আরেকটু বোলারদের জন্য প্রকট হওয়া প্রয়োজন, যাতে তাঁরা সিম মুভমেন্ট করাতে পারে। আমরা দেখছি কিছু ম্যাচে এক ওভারের মধ্যে সিম মুভমেন্ট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ব্যাট এবং বলের মধ্যে তো একটা সামঞ্জস্য থাকা দরকার। এভাবে চলতে থাকলে কয়েক বছর পর আর উঠতি খেলোয়াড়রা বোলার হতেই চাইবে না। সবাই ব্যাটার হতে চাইবে, তাই ব্যালেন্স রাখাটা খুব জরুরী । ’
এদিকে কুম্বলে আরও বলেছেন, ‘ হঠাৎ করে রোহিতকে সরিয়ে দেওয়ায় খেলায় প্রভাব পড়েছে। এবছর রোহিতকে অধিনায়ক রেখে পরের বছর হার্দিককে অধিনায়ক করতে পারত মুম্বই, কারণ ও ৫টা ট্রফি দিয়েছে দলকে। হার্দিকের অনুপস্থিতিতে গুজরাট ছিটকে গেছে , কিন্তু শামির না থাকাটা আরও বড় ফ্যক্টর হয়ে গেছে। বিশ্বকাপে কুলদীপ প্রথম একাদশে থাকবেই, কিন্তু বাকি সিদ্ধান্ত পিচ দেখেই হবে’।