লর্ডস টেস্টে ভারতীয় দলের সহজেই জেতার কথা ছিল। কারণ চতুর্থ ইনিংসে ২০০র নিচে টার্গেট চেজ করা এমন কিছু শক্ত কাজও নয়। আর বিশেষ করে লর্ডসের পিচের অবস্থা কিন্তু তেমন খারাপও ছিল না। কিছুদিন আগেই এই লর্ডসে রান তাড়া করে জিতেছিল দঃ আফ্রিকা, তাও আবার অস্ট্রেলিয়ার মতো পেস অ্যাটাকের বিরুদ্ধে। কিন্তু ১৯৩ রান তাড়া করতে নেমেও ভারতীয় দল সেই ম্যাচ হেরে যায় ২২ রানে। রবীন্দ্র জাদেজার লড়াকু ইনিংস ব্যর্থ হয়। অনেকেই মনে করছেন বিরাট কোহলি যদি দলে থাকতেন, তাহলে এই ম্যাচে ভারতীয় দল জিতেই মাঠ ছাড়ত। কারণ রান তাড়া করার ক্ষেত্রে কোহলির দক্ষতা বর্তমান ভারতীয় দলের সব ক্রিকেটারদের থেকেই বেশি। কিন্তু ইংল্যান্ড সিরিজের আগে কোহলি টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ায় তাঁকে এই সিরিজে পাওয়া যায়নি, আর যার ফলেই মানসিক দিক থেকে ভারতীয় দল কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার স্টিভ হারমিনসন মনে করছেন, ভারতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটাররা প্রথম তিন ম্যাচে যথেষ্টই ভালো ক্রিকেট খেলেছে। কিন্তু বিরাটদের অনুপস্থিতির কারণেই কিছু জায়গায় খামতি থেকে গেছে টিম ইন্ডিয়ার, যার ফলেই এখন সিরিজে পিছিয়ে রয়েছে ভারত। হারমিনসনের কথায়, ‘ভারতীয় দল বেশি শতরান করেছে, তাঁদের টপ অর্ডারও বেশি রান করেছে, নতুন বলে উইকেটও ভারতীয় বোলাররাই বেশি নিয়েছে, কিন্তু এতকিছুর পরও ইংল্যান্ড জয়ের খোঁজ পেয়ে গেছে। আমার মনে হয়, ভারতীয় দলকে নিজেদের ওপর বিশ্বাস করতে হবে। এখানেই বিরাট কোহলির থাকা বা না থাকার প্রভাব পড়ছে। চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে বিরাট থাকলে হাসতে হাসতে লর্ডসে এই ম্যাচ জেতে ভারত। ’।
যদিও বিরাটের রান তাড়া করে জেতার ক্ষেত্রে টেস্টে তেমন সুখ্যাতি নেই, বরং টি২০ এবং ওডিআইতেই কোহলির রান তাড়া করে জেতার প্রচুর উদাহরণ রয়েছে। তবে বলাই বাহুল্য, ওর মতো ব্যাটার যদি টিম ইন্ডিয়ার এই সিরিজে থাকত, তাহলে নিঃসন্দেহে ভারতীয় দলের শক্তি অনেকগুনই বৃদ্ধি পেত।