এজবাস্টন টেস্টের প্রথম দিনেই দুর্দান্ত শতরান করে সকলের নজর কেড়েছেন শুভমন গিল। তাঁর অধিনায়ক হওয়া নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল কদিন আগে। কিন্তু তিনি ব্যাট হাতেই সমস্ত জবাব দিয়েছেন, যা দেখে অনেকই রোহিত এবং বিরাটের সঠিক বিকল্প হিসেবেই গিলকে দেখছেন। কারণ রোহিত ক্যাপ্টেন হলেও ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সময় ছিলেন ফুল ফ্লপ, আর বিরাট কোহলিও চার নম্বরে নেমে তেমন ছন্দ দেখাতে পারছিলেন না। তবে গিল ব্যাট হাতে ক্যাপ্টন্সির দায়িত্ব ভালোভাবেই পালন করছেন। দলের যা দরকার, যে পরিস্থিতি অনুযায়ী যা করা উচিত, সেটাই মাথায় খাটিয়ে করছেন।
লাল বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের মাটিতে ব্যাক টু ব্যাক শতরান করে ২৫ বছর বয়সী গিল বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে অধিনায়ক পদ থেকে সরানোর কাজটা আর সহজ হবে না। সমালোচকরা যতই তাঁর অধিনায়কত্বের সমালোচনা করুন না কেন,ব্যাটে রান করে তিনি তাঁদেরক চুপ করিয়ে দেবেন। কারণ যে পজিশনে তিনি পরপর দুই ম্যাচে শতরান করেছেন, একটা সময় সেই পজিশনে সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলিরা ব্যাটিং করতেন।
এজবাস্টন টেস্টে যদি গিল শতরান না করতেন, তাহলে প্রথম দিনেই হয়ত ভারতের সব উইকেট পড়ে যেত, এবং হারের অপেক্ষা করতে হত। তাই গিলের ইনিংসে মুগ্ধ হয়েই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ কাইফ লিখছেন এক্স হ্যান্ডেলে, ‘সচিন তেন্ডুলকর, বিরাট কোহলির পর শুভমন গিল। ভারতীয় দল সব সময়ই চার নম্বর পজিশনে বিশ্বমানের ব্যাটারদের পেয়েছে। আশা করব, চিরকাল এটাই বজায় থাকবে। এই পজিশনের যে ঐতিহ্য, সেটা ভালোভাবেই গিল এগিয়ে নিয়ে চলেছে ’।
বুধবারই শুভমন গিল বিরল নজির গড়েছেন।তিনি নবম সফরকারি অধিনায়ক এবং দ্বিতীয় ভারত অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিনের পর, যিনি যে কোনও টেস্ট সিরিজের প্রথম এবং দ্বিতীয় টেস্টেই শতরান করেছেন। দিনের শেষে গিল ১১৪ রানে অপরাজিত রপয়েছেন। এই টেস্টে শার্দুল ঠাকুর, সাই সুদর্শন এবং জসপ্রীত বুমরাকে বাদ রাখা হয়েছে, পরিবর্তে দলে এসেছেন নীতীশ রেড্ডি, ওয়াসিংটন সুন্দর এবং আকাশদীপ।