‘নিজের ট্র্যাকে ফিরে আয়, আমি তোকে ভরসা করি’! পৃথ্বীকে বলেছেন মাস্টার ব্লাস্টার্স

২০১৪ সালের নাগাদ এক ছোট্ট ছেলের খেলা দেখে অনেকেই সচিন তেন্ডুলকরের ব্যাটিং স্টাইলের অনুকরণ খুঁজে পাচ্ছিলেন। সেই সময় ১৫ বছর বয়সী পৃথ্বী শ, যে প্রতিযোগিতাতেই নামছিলেন সেখানেই সফল হচ্ছিলেন। এরপর আরও তিন বছর পর রঞ্জি ট্রফিতে খেলতে নেমেই এই ডানহাতি ওপেনার নজর কেড়েছিলেন রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেকেই শতরান করে। ১৮ বছর বয়সেই অনূর্ধ্ব ১৯ টিম ইন্ডিয়াকে অধিনায়কত্ব করে এই বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করেছইলেন তিনি। সেবছরই জাতীয় দলে ডাক পান পৃথ্বী। শেই একই দলে ছিলেন শুভমন গিল, আর্শদীপ সিং, অভিষেক শর্মারা। ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে নিজের টেস্ট অভিষেকে শতরান করে পৃথ্বী সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া সফরেও কিন্তু সেবার চোট পেয়ে তাঁকে ছিটকে যেতে হয়েছিল। এরপর কফ সিরাপ খাওয়ার জন্য তাঁকে নির্বাসিত করা হয়েছিল, তবুও পৃথ্বীর হাজার দোষের পরও তাঁর খেলা দেখে তাঁকে দলে রাখতেন নির্বাচকরা। কিন্তু গত ১-২ বছর অত্যন্ত খারাপ গেছে তাঁর। দিল্লি ক্যাপিটালস তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার পর আইপিএলে দল পাননি। মুম্বই রঞ্জি দলের পক্ষ থেকেও তাঁকে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়, চেহারা না কমালে, মেদ না ঝড়ালে তাঁকে আর দলে নেওয়া যাবে না। পৃথ্বী ফোকাসও খেলা থেকে ঘুরে যাচ্ছিল অসৎ সঙ্গে পড়ে। সম্প্রতি পৃথ্বী নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি খারাপ বন্ধুদের পাল্লায় পড়েছিলেন। তবে তার মধ্যেও সচিন তেন্ডুকর ঠিক তাঁর খোঁজ নিয়েছিলেন এবং তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।পৃথ্বী জানাচ্ছেন, খারাপ সময়ও মাস্টার ব্লাস্টার্স তাঁর পাশে থেকেছেন। তিনি বলছেন, ‘সচিন স্যার আমার ক্রিকেট কেরিয়ারের সব কিছুই জানে। অর্জুন আর আমি ৮-৯ বছর বয়স থেকেই বন্ধু। আমরা একসঙ্গে বড়় হয়েছিল, তখন স্যারও থাকত। আমার সঙ্গে ওনার মাস দুয়েক আগে কথাও হয়েছিল। খারাপ সময় যখন সব কিছুই বিরুদ্ধে যায়, তখন এমন একজন মেন্টরের দরকার লাগে যে আলোর পথ দেখাতে পারে। উনি এখনও আমার ওপর ভরসা রাখেন। আমায় সেদিনও বলছিল , ‘পৃথ্বী আমি এখনও তোর ওপর ভরসা রাখি, আর আমি সেটা রাখব। এখনও সময় আছে, সঠিক পথে চলে আয়। যেমন আগে ছিলিস ’। সব কিছুই সম্ভব আগামী ১৩-১৪ বছরে, উনি যে আমার ওপর বিশ্বাসটা রেখেছেন এটাই আমার কাছে অনেক বড় কথা ’।২০২১ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় দলের জার্সিতে শেষবার খেলেছেন পৃথ্বী। এরপর ২০২২ সালের নিউজিল্যান্ড সিরিজে নাম থাকলেও তাঁকে খেলানো হয়নি। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে অসমের বিরুদ্ধে রঞ্জিতে ৩৭৯ রান করেছিলেন, ২০২৩ সালের অগাস্টে নর্দ্যাম্পটনশায়ারের হয়ে ২৪৪ রান করেছিলেন, পরে শতরানও ছিল তাঁর। তবে এরপর থেকে পতন শুরু তাঁর, ব্যাটে রান নেই। চেহারা ভারি হয়ে যাচ্ছিল, যদিও পৃথ্বী এখন চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন রোগা হওয়ার এবং ২০১৮ সালের পুরনো ফিট পৃথ্বীর জায়গায় ফিরে যাওয়ার।