ভারতীয় ব্যাটার পৃথ্বী শ সোমবার তাঁর ঘরোয়া দল মুম্বইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (MCA) তাঁকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (NOC) দিয়েছে, যাতে তিনি নতুন একটি রাজ্য দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান এবং নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন।
গত কিছু সময় ধরে পৃথ্বী শ টেস্ট দলের ভাবনায় নেই। তিনি মূলত সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছেন। তবে, মাঠের পারফরম্যান্সের চেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে তাঁর মাঠের বাইরে আচরণগত সমস্যাগুলি।
মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ক্রিকেটার পৃথ্বী শ একটি নতুন রাজ্য দলের হয়ে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে খেলার জন্য আমাদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে একটি নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (NOC) চেয়েছিলেন। আমরা বিষয়টি বিবেচনা করে তাঁকে অনুমতি দিয়েছি।’ MCA সচিব অভয় হাডাপ বলেন, ‘পৃথ্বী শ একজন অসাধারণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার এবং মুম্বই ক্রিকেটে তাঁর অবদান অপরিসীম। আমরা তাঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই এবং ভবিষ্যতের জন্য তাঁকে শুভেচ্ছা জানাই।’
২০১৭ সালে মুম্বইয়ের হয়ে অভিষেক করেছিলেন ২৫ বছর বয়সি পৃথ্বী শ। MCA-কে পাঠানো চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘আমি মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এই সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ এবং যে অভিজ্ঞতা আমি পেয়েছি, তা আমার জন্য গর্বের।’
এরপর চিঠিতে নিজের সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি লেখেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের এই মুহূর্তে, আমাকে অন্য একটি রাজ্য দলের হয়ে পেশাদার ক্রিকেট খেলার প্রতিশ্রুতিশীল সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, এটি আমার ক্রিকেটার হিসেবে আরও বিকাশে সহায়ক হবে। এই কারণে আমি MCA-র কাছে অনুরোধ করছি আমাকে একটি NOC প্রদান করার জন্য, যাতে আমি নতুন রাজ্যের হয়ে আসন্ন ঘরোয়া মরশুমে খেলতে পারি।’
তবে পৃথ্বী শ কোন রাজ্য দলে যোগ দিচ্ছেন, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। চিঠির শেষদিকে পৃথ্বী লেখেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমি অনেক ভেবে-চিন্তেই নিয়েছি এবং MCA-র প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। আমি সংস্থাটিকে কৃতজ্ঞতা জানাই, তাদের দীর্ঘদিনের দিকনির্দেশনা ও মঞ্চ দেওয়ার জন্য।’
উল্লেখ্য, ভারতের হয়ে পাঁচটি টেস্ট ও ছয়টি ওয়ানডে খেলা পৃথ্বী শকে গত বছর ফিটনেস ও শৃঙ্খলার অভাবের কারণে মুম্বই রঞ্জি দলে রাখা হয়নি। শেষবার তিনি মুম্বইয়ের হয়ে খেলেছিলেন সৈয়দ মুস্তাক আলি টি২০ ট্রফির ফাইনালে, যেখানে মুম্বই পাঁচ উইকেটে মধ্যপ্রদেশকে হারিয়েছিল।
গত মরশুমে প্রশাসকদের পাশাপাশি অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারও তাঁর ফিটনেস ও কাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের শ্রেয়স বলেছিলেন, ‘ওকে নিজের ওয়ার্ক এথিক ঠিক করতে হবে। ওটা ঠিক করতে পারলে আকাশই হবে সীমা। আমরা তো কাউকে বেবিসিট করতে পারি না, তাই না? এই স্তরে খেলতে এলে প্রত্যেক পেশাদার খেলোয়াড়ের জানা উচিত, কী করা উচিত। পৃথ্বী অতীতে সেটা করেছে, আবার পারবে। ওকে নিজেকে নিয়ে ভাবতে হবে, চিন্তা করতে হবে। নিজেই নিজের প্রশ্নের উত্তর পাবে।’